গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে মমতার সরকার, রাষ্ট্রপতিকে বললেন দাড়িভিটে নিহতদের পরিজনরা

পশ্চিমবঙ্গে পুলিস রাজ চলছে। কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে গেলে হয় তাকে জেলে ভরা হচ্ছে নইলে গুলি করা হচ্ছে। সচেতনভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তৃণমূল সরকার। রাষ্ট্রপতি কথা শুনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে যা যা করার তিনি করবেন। 

Updated By: Oct 1, 2018, 01:01 PM IST
গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে মমতার সরকার, রাষ্ট্রপতিকে বললেন দাড়িভিটে নিহতদের পরিজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন দাড়িভিটে নিহত ২ ছাত্রের পরিজনরা। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। দাড়িভিটে গুলিচালনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দেহের ফের ময়নাতদন্ত দাবি করতে পারেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাড়িভিটে নিহতদের পরিবারকে। 

প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন, দাড়িভিটে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিতে মৃত ২ যুবকের পরিজনরা। ওদিকে এই ইস্যুতে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করতে মরিয়া বিজেপি। গত শুক্রবার এই নিয়ে দিল্লিতে দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বৈঠক হয়। সেখানেই দাড়িভিটকাণ্ড নিয়ে দিল্লি-সহ গোটা দেশে তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলার কৌশল ঠিক হয়। 

বাসর রাতেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা, নববধূকে ধর্ষণ করল স্বামী-দেওর-তান্ত্রিক

সিদ্ধান্ত হয়, দাড়িভিটে নিহতদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে। সেখানে মানবাধিকার কমিশন ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সুবিচার চাইবেন তাঁরা। 

সেই মতো শনিবার গভীর রাতে কার্যত চুপিসাড়ে দাড়িভিটের নিহতদের পরিবারকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল নেতারা খবর পাওয়ার আগেই বাগডোগরা দিয়ে বিমানে দিল্লি রওনা হন তাঁরা। 

রবিবারই মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানান দাড়িভিটে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিজনরা। সেখানে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। 

আজও থমথমে ক্যানিং, তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার ৫

সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন রাজেশ ও তাপসের পরিজনরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা এসএস আহলুওয়ালিয়া ও মুকুল রায়। প্রায় আধ ঘণ্টা তাঁদের বক্তব্য শোনেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। 

মুকুল রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিস রাজ চলছে। কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে গেলে হয় তাকে জেলে ভরা হচ্ছে নইলে গুলি করা হচ্ছে। সচেতনভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তৃণমূল সরকার। রাষ্ট্রপতি কথা শুনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে যা যা করার তিনি করবেন। 

গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ছাত্রবিক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। পুলিস গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিসের গাড়ি লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করে জনতা। তখনই গুলিতে মৃত্যু হয় ২ যুবকের। পুলিসের দাবি, গুলি তারা চালায়নি। নিহতদের পরিজনদের দাবি, গুলি চলেছে পুলিসের গাড়ির ভিতর থেকে। ঘটনায় আরএসএস ও বিজেপিকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

.