মুখ্যসচিব নিগ্রহের ঘটনায় কেজরিওয়াল সহ ১১ আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর নাম চার্জশিটে। শুধু তাই নয় উপমুখ্যমন্ত্রী সহ দলের ১১ বিধায়কের নামে অভি‌যাগে করল পুলিস।

দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের ঘটনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া সহ দলের প্রায় ডজনখানেক বিধায়কের নাম উঠে এল চার্জশিটে। এনিয়ে একপ্রকার হইচই পড়ে গেল দিল্লিতে। সোমবার ওই চার্জশিট পেশ করে দিল্লি পুলিস।

উল্লেখ্য, এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে নিজের বাড়িতে বৈঠকে ডাকেন কেজরিওয়াল। সেখানে মন্ত্রিসভা ও দলের অন্যান্য বিধায়করা উপিস্থিতি ছিলেন। অংশুর অভি‌যোগ, কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে তাঁর বেধড়ক মারধর করেন আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। ওই ঘটনার পর দিল্লির কূটনৈতিক মহল প্রবল হইচই পড়ে ‌যায়।

ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিসের কাছে এফআইআর করেন অংশু প্রকাশ। শুধু তাই নয় ওই ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির সেক্রেটারিয়েট থেকে রাজঘাট প‌র্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন দিল্লির সরকারি আধিকারিকরা। ওই মোমবাতি মিছিলে ‌যোগ দেন কমপক্ষে ৮০০ সরকারি কর্মী ও অধিকারিক।

ঘটনার তদন্তে নেমে আমানুল্লা খান ও আপ বিধায়ক প্রকাশ জারওয়ালকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। গত ১৮ মে কেজরিওয়ালকেও ৩ ঘণ্টা জেরা করে পুলিস। জেরা করা হয় উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়াকেও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সব সিসিটিভ ফুটেজ পরীক্ষা করেও দেখা হয়।

দিল্লি পুলিস গ্রেফতার করে আপ-এর মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজকেও। তিনি দাবি করেছিলেন ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মুখ্যসচিবকে মারধর করা হয়নি। কেজরিওয়ালের বদনাম করেতে এটি একটি ষড়‌যন্ত্র। এর পেছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ তিনি রাহুল গান্ধীকে ভয় পান না, ভয় পান একমাত্র কেজরিওয়ালকে। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্যই হল দিল্লি থেকে আপ সরকারকে সরিয়ে দেওয়া।