প্রয়াত `অপরেশন ফ্লাডের` রূপকার

চলে গেলেন ভারতের দুগ্ধ বিপ্লবের জনক ভার্গিস কুরিয়েন। রবিরার গুজরাতের নাদিয়াদে মুলজিভাই পাটেল ইউরোলজিকাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন `অপরেশন ফ্লাডের` রূপকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল নব্বই বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক কন্যাকে।

Updated By: Sep 9, 2012, 01:02 PM IST

চলে গেলেন ভারতের দুগ্ধ বিপ্লবের জনক ভার্গিস কুরিয়েন। রবিরার গুজরাতের নাদিয়াদে মুলজিভাই পাটেল ইউরোলজিকাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন `অপরেশন ফ্লাডের` রূপকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল নব্বই বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক কন্যাকে।

ঊনিশশো ঊনপঞ্চাশে আঠাশ বছরের তরুণ ভার্গিস গুজরাতের আনন্দে আসেন। তার পরের পর্ব আজ ইতিহাস। তাঁর চোখ দিয়েই নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলেন আনন্দের প্রায় এক কোটি দুগ্ধ উত্‍পাদনকারী। গোটা বিশ্বকে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, শুধু গরু নয় মোষের দুধ থেকেও মিল্ক পাউডার প্রস্তুত করা যায়। মাত্র ছ বছরেই তাঁর নেতৃত্বে দুগ্ধ উত্‍পাদনকারীদের নিয়ে গঠিত সমবায় এশিয়ার বৃহত্তম দুগ্ধ উত্‍পাদনকারী সংস্থায় পরিণত হয়। সেসময় দিনে প্রায় কুড়ি হাজার লিটার দুধ উত্‍পন্ন হত আনন্দের ওই সমবায়ে। স্বাভাবিকভাবেই একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড তৈরি করা এরপর জরুরি হয়ে পড়ে। তৈরি হয় আনন্দ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড সংক্ষেপে আমুল। কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের আমজনতার রোজকার গৃহস্থালি জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে `আমুল`। সেই `ট্র্যাডিশন` অব্যাহত রয়েছে আজও। কুরিয়েনের হাত ধরেই ১৯৭০-এ আনন্দের সেই ছোট্ট গ্রাম থেকে দুগ্ধ বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশ জুড়ে। পৃথিবীর সেরা দুগ্ধ উত্‍পাদনকারী দেশ গুলির মধ্যে নিজের ঠাঁই করে নেয় ভারত।
বেশ কয়েক দশক ` গুজরাট কো-অপেরেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডেরেশন` এবং `ন্যাশনল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড` র প্রধান হিসাবে কাজ করেছিলেন কুরিয়েন। কিছুবছর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সব দায়িত্ব থেকে। গতবছরের নভেম্বরেই ধুমধাম করে পালন করা হয়েছিল তাঁর একানব্বইতম জন্মদিন। কুরিয়েনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

.