রুপোলি পর্দার গান্ধীরা

মহাত্মা গান্ধীর ১৪৩ তম জন্মদিনে সেরকমই ৫ জনকে বেছে নিলাম আমরা।

Updated By: Oct 2, 2012, 04:08 PM IST

১৯৮২ থেকে ২০০৭। সিনেমার ইতিহাসে বিষয়বস্তু বদলেছে বহু। কলেজ প্রেমের আনাড়ি কাহিনিকে পিছনে পেলে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে চলচ্চিত্র। শুধু একটি বিষয়ের আবেদন চিরকালীন। সেই বিষেয়ের নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারতীয় ছবির গণ্ডি পেরিয়ে তিনি ব্যাপৃত হয়েছেন বিদেশি ছবিতেও। বাপুর জীবনের ওপর ছবি তৈরি হলেই যে কোনও যুগেই সশ্রদ্ধ সাগ্রহে হলের বাইরে ভিড় জমান দর্শকরা। ব্যক্তি গান্ধীর মতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রুপোলি পর্দার গান্ধীরাও। মহাত্মা গান্ধীর ১৪৩ তম জন্মদিনে সেরকমই ৫ জনকে বেছে নিলাম আমরা।
স্যর বেন কিংসলে: ১৯৮২ সালে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর `গান্ধী` পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছবিগুলির একটি। ছবিতে গান্ধীর ভূমিকায় স্যর বেন কিংসলের অভিনয় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সহ মোট ৮টি অস্কারে ভূষিত হয়েছিল রিচার্ডের গান্ধী।
রজিত কপুর:
দেশবাসী তাঁকে ব্যোমকেশ বক্সী হিসেবেই চেনেন। ১৯৯৬ সালে `দ্য মেকিং অফ মহাত্মা`র জন্য তাঁকেই বেছে নিয়েছিলেন ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটানো গান্ধীর দীর্ঘ ২১ বছরের জীবন নিয়ে তৈরি সেই ছবিতে রজিত কপুরের অভিনয় তাঁকে এনে দিয়েছিল শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।

নাসিরুদ্দিন শাহ: ২০০০ সালে কমল হাসানের পরিচালনায় `হে রাম` ছবিতে গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেন নাসিরুদ্দিন শাহ। হিন্দুত্ববাদী সাকেত রামের চোখে গান্ধীর ভিলেন থেকে হিরোতে উত্তীর্ণ হওয়ার সেই কাহিনিতে পর্দায় স্বল্প পরিসরের উপস্থিতিতেও অভিনয়ের স্বাত্ক্ষর রেখেছিলেন নাসিরুদ্দিন।
দিলীপ প্রভালকর: ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে `কাল্ট` ছবিগুলির লিস্টে অন্যতম `লাগে রহো মুন্নাভাই`। গান্ধী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মারাঠী মঞ্চাভিনেতা দিলীপ প্রভালকরকে বেছে নিয়েছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া। বাকিটা ইতিহাস। সারা দেশ জুড়ে অভিনন্দনের পাশাপাশি ২০০৬ সালের সেরা সহ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন দিলীপ। শুধু বাপুজি হিসেবেই নয়। দিলীপ প্রভালকরের গান্ধী কিংবদন্তী চরিত্রগুলির একটি। লাগে রহো মুন্নাভাইয়ের তেলেগু ভার্সন `শঙ্কর দাদা জিন্দাবাদে`ও একই চরিত্রে অভিনয় করেন দিলীপ।

দর্শন জারিওয়ালা:
স্বাধীনতা সংগ্রামের বাইরে গান্ধীজির পারিবারিক জীবন নিয়ে ২০০৭ সালে ফিরোজ আব্বাস খান তৈরি করেন `গান্ধী, মাই ফাদার`। বক্সঅফিস বা সমালোচকদের চোখ, কোনওদিকেই সুবিধা করতে পারেনি সেই ছবি। তবে গান্ধী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন দর্শন জারিওয়ালা।

রুপোলি পর্দার গান্ধীদের ২৪ ঘণ্টার স্যালুট

.