ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে "আই লভ ইউ" পোস্ট করলেই বিয়ে দেওয়ার নিদান হিন্দু মহাসভার
ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন একসঙ্গে বেরোলে ধরে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার নিদান আগেই ছিল। তবে বাড়িতে বসে থাকলেও রেহাই দেবে না হন্দু মহাসভা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও নাকি থাকবে তাদের কড়া নজরদারি। যদি আই লভ ইউ বা কোনও প্রেমের বার্তা পোস্ট করেন কেউ, তবে তাদেরও বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হিন্দু মহাসভা।
ওয়েব ডেস্ক: ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন একসঙ্গে বেরোলে ধরে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার নিদান আগেই ছিল। তবে বাড়িতে বসে থাকলেও রেহাই দেবে না হন্দু মহাসভা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও নাকি থাকবে তাদের কড়া নজরদারি। যদি আই লভ ইউ বা কোনও প্রেমের বার্তা পোস্ট করেন কেউ, তবে তাদেরও বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হিন্দু মহাসভা।
হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক বলেন, গোটা ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ উদযাপন করার অর্থ ভারতের ঐতিহ্য না মানা। যে কেউ ফেসবুক, টুইটারে বা ওয়াটসঅ্যাপে এই প্রসঙ্গে কোনও পোস্ট করলেই তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এর মধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নজর রাখার জন্য দিল্লিতে ৮টি দল গড়া হয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় প্রচার চালাবো আমরা। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পরই আমাদের দল প্রকৃত ভালবাসার প্রচার চালাবে। ভারতের পাশ্চাত্য ধারা অনুসরণ করা উচিত্ নয় সেই বিষয়েও প্রচার চালানো হবে। কিন্তু তারপরও যারা আমাদের উপদেশ মানবেন না, তাদের ফোন নম্বর, ঠিকানা জোগার করে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করবো আমরা। যদি কেউ নিজের ফোন নম্বর দিতে অস্বীকার করেন, তাহলে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো আমরা। বিশেষ করে যারা অনলাইনে খুব সক্রিয়।
অন্যদিকে, দিল্লি পুলিসের ইন্সপেক্টর জেনারেল অলোক শর্মা জানান, ভ্যালেন্টাইনস ডে হোক বা যে কোনও দিন, নীতি পুলিস হওয়ার অধিকার কারও নেই। কিন্তু যদি হিন্দু মহাসভার সদস্যরা এমন কিছু করতে যান, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো আমরা। এর আগে হিন্দু মহাসভা নিদান দিয়েছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি কোনও প্রেমিক-প্রেমিকাকে গোলাপ ফুল হাতে দেখা গেলে, বা কোনও পার্কের কোণায় আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেলেই তাদের আর্য সমাজের নিয়ম মেনে বিয়ে দেওয়া হবে। যদি প্রেমিক ও প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হন, তবে তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।