মুম্বই ও উরি হামলা পরবর্তী পদক্ষেপই কংগ্রেস-বিজেপির পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল, ভূজের সভায় সুর চড়ালেন মোদী

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মোদী

Updated By: Nov 27, 2017, 04:23 PM IST
মুম্বই ও উরি হামলা পরবর্তী পদক্ষেপই কংগ্রেস-বিজেপির পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল, ভূজের সভায় সুর চড়ালেন মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদন:  সন্ত্রাস দমনে ইউপিএ সরকারের দুর্বল পদক্ষেপের কথা টেনে কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে আস্তিন থেকে একের পর এক অস্ত্র বের করছেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার ভূজের জনসভায় সন্ত্রাস দমনে কংগ্রেসের নরম মনোভাবের কথা বলতে গিয়ে মোদী ইউপিএ আমলে ঘটা মুম্বই হামলা ও বিজেপি আমলের উড়ি হামলা পরবর্তী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা টেনে আনেন। গুজরাট বিধানসভার প্রচারে গিয়ে, কংগ্রেস ও বিজেপি সরকারের পার্থক্য বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। উড়িতেও হয়েছিল। দেশের মানুষ জানে দুটো ক্ষেত্রে ভারত কীভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতেই কংগ্রেস ও বিজেপি সরকারের তফাতটা বোঝা ‌যায়। কংগ্রেসেরও তা ভুলে ‌যাওয়া উচিত নয়।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। টানা ৪ দিন ধরে চলা চোরাগোপ্তা ওই হামলায় নিহত হন ১৬৩ জন আহত ৩০৫। ওই হামলায় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে এখনও কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। মাত্র ১০ জন জঙ্গিকে কাবু করতে কেন ৪ দিন লাগল তা নিয়ে কংগ্রেস সরকারকে সমালোচনায় বেঁধেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, উরি হামলার পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় সেনাবাহিনী। পাক সীমানায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি।

ভূজের সভায় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাফিজ সইদকে সমর্থন করার অভি‌যোগও তোলেন। মোদী বলেন, ‘পাক আদালত হাফিজ সইদকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতে কংগ্রেস খুব খুশি। এটা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি।’ পাশাপাশি মোদী আরও বলেন, ‘কংগ্রেস প্রথমে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বিশ্বাসই করতে চায়নি। বরং ওই ঘটনার সত্যতা ‌যাচাইয়ের জন্য চিনা রাষ্ট্রদূতের উপরে বেশি নির্ভর করেছে।’

উল্লেখ্য, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে অনেকটাই মান রক্ষার লড়াই। নোটবন্দি ও জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর মোদী-শাহের রাজ্যের মানুষ তা কীভাবে নিয়েছেন তা বোঝা ‌যাবে এই নির্বাচনের ফলাফলেই। গত একমাসে বিজেপির পালের হাওয়া কাড়তে ময়দানে নেমে পড়েছে হার্দিক প্যাটেল ব্রিগেড। পাশাপাশি, জিগনেস মেওয়ানির নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো ও অল্পেস ঠাকোরের দলত্যাগ ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। ফলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে ‘সন্ত্রাস অস্ত্র’ বের করলেন মোদী, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।

আরও পড়ুন-'নরেন্দ্র মোদীর চামড়া গুটিয়ে নেব', তেজষ্ক্রিয় হুমকি লালুপুত্রের

.