দেড় দশক পর রেলের কেটারিংয়ে ফিরছে মাটির ভাঁড়-গ্লাস
পটারি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ২০০৪ সালে রেলে মাটির ভাঁড়, প্লেট, গ্লাস চালু করেন লালুপ্রসাদ যাদব
নিজস্ব প্রতিবেদন: পনের বছর আগে রেলে এ জিনিস চালু করেছিলেন তত্কালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। দেড় দশক পর সেই একই কাজ করতে চলেছেন পীয়ূষ গোয়েল। এবার রেলের কেটারিং সিস্টেমে ফিরছে মাটির ভাঁড়, প্লেট, গ্লাস।
আরও পড়ুন-‘হিজড়ার চেয়েও অধম মায়াবতী’, কুকথার তোড় বিজেপি নেত্রীর মুখে
সম্প্রতি বারাণসী ও রায়বেরিলি স্টেশনের কেটারিং ইউনিটকে মাটির ভাঁড়, গ্লাস ও প্লেট চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল। এনিয়ে ইতিমধ্যেই একটি সার্কুলার জারি করেছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব রেল। এর ফলে শুধুমাত্র যাত্রীদের স্বাদবদলই হবে না বরং পুরনো একটি শিল্প চাঙ্গা হয়ে উঠবে। অভিমত রেলের।
উল্লেখ্য, এই ধরনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে খাদি-র পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েলকে চিঠি লেখেন খাদির চেয়ারম্যান। তাঁর যুক্তি ছিল এর ফলে এলাকার মৃত্শিল্পীদের কর্মসংস্থান বাড়বে।
খাদির চেয়ারম্যান ভি কে সাক্সেনা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, আমরা এলাকার মৃত্শিল্পীদের বৈদ্যুতিক চাকা দিচ্ছি। এতে তাদের উত্পাদন কমপক্ষে রোজ ১০০ কাপ থেকে ৬০০ কাপে গিয়ে দাঁড়াবে। ওই কাপ, প্লেট তারা বেচবে কোথায়! সেই ভাবনা থেকেই আমরা রেলের কাছে আবেদন করি। রেল এতে রাজী। এর ফলে কয়েক লাখ মৃত্শিল্পী একটা তৈরি বাজার পেয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-পরকীয়ায় পথের কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে নিয়ে স্বামী রামুয়াকে খুনের ছক
পটারি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ২০০৪ সালে রেলে মাটির ভাঁড়, প্লেট, গ্লাস চালু করেন লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি সাফ নির্দেশ দেন খাবার দিতে হবে মাটির জিনিসে। মাটির জিনিস রেলে চালু হলেও ক্রমে তার জায়গা নিয়ে নেয় কাগজের কাপ, প্লেট।