পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়তে চলেছেন লৌহ মানবী শর্মিলা

শুভস্য শীঘ্রম। বিয়ের করছেন ইরম শর্মিলা চানু। আফস্পার বিলোপ চেয়ে অধিকারের দাবিতে ষোল বছরের না খাওয়া প্রতিবাদ। প্রতিবাদের পথ পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যাদের জন্য লড়া এবং কাছের মানুষদের থেকে 'বিশ্বাসঘাতক' তকমা। দেড় দশকের চেনা নাকে নল গোঁজা ছবিত। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে তাঁরই অনুগামীদের চরম দুর্বব্যবহার ও প্রহার। অযুহাত, মণিপুরের লৌহ মানবীকে প্রতিবাদের পথ ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে চাওয়া প্রেমিক আসলে 'রাষ্ট্রের চড়' কুঅভিসন্ধিই যার একমাত্র পুঁজি। অনসন প্রত্যাহার করে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন সেই প্রেমিক ডেসমন্ড কুটিনহোর নিখোঁজ থাকার সময় অতিতের সহযোদ্ধাদের থেকে ধেয়ে আসা 'খোঁটা' সবই সত্যি এবং অতীত। যেটা তার চেয়েও বড় সত্যি এবং বর্তমান তা হল এবার তাঁর ভালবাসার মানুষ ডেসমন্ডের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়তে চেয়ে কোদাইকানালের সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে যৌথ আবেদন করলেন চানু ও জেসমন্ড। হ্যাঁ, ইরম শর্মিলা চানু এখন জীবনের মূল স্রোতে।

Updated By: Jul 14, 2017, 11:57 AM IST
পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়তে চলেছেন লৌহ মানবী শর্মিলা
সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেমিক ডেসমন্ডকে পাশে নিয়ে শর্মিলা

ওয়েব ডেস্ক: শুভস্য শীঘ্রম। বিয়ের করছেন ইরম শর্মিলা চানু। আফস্পার বিলোপ চেয়ে অধিকারের দাবিতে ষোল বছরের না খাওয়া প্রতিবাদ। প্রতিবাদের পথ পাল্টানোর (অনশন) সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে যাদের জন্য লড়া সেই কাছের মানুষদের থেকে 'বিশ্বাসঘাতক' তকমা। দেড় দশকের চেনা নাকে নল গোঁজা ছবি। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে তাঁরই অনুগামীদের চরম দুর্বব্যবহার ও তাঁকে প্রহার। অযুহাত, মণিপুরের লৌহ মানবীকে প্রতিবাদের পথ ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে চাওয়া প্রেমিক আসলে 'রাষ্ট্রের চড়' কুঅভিসন্ধিই যার একমাত্র পুঁজি। অনশন প্রত্যাহার করে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন সেই প্রেমিক ডেসমন্ড কুটিনহোর নিখোঁজ থাকার সময় এক সময়ের সহযোদ্ধাদের থেকে ধেয়ে আসা 'খোঁটা' সবই সত্যি এবং অতীত। কিন্তু তার চেয়েও বড় সত্যি এবং বর্তমান হল এবার তাঁর ভালবাসার মানুষ ডেসমন্ডের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়তে চলেছেন শর্মিলা। আর সেই উদ্দেশেই কোদাইকানালের সাব-রেজিস্ট্রারের (ম্যারেজ) অফিসে যৌথ আবেদন করলেন চানু ও ডেসমন্ড। হ্যাঁ, ইরম শর্মিলা চানু এখন জীবনের মূল স্রোতে।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে দু'দণ্ড শান্তির খোঁজে এখন কোদাইকানালের পেথুপারাইতে ঘর নিয়েছেন শর্মিলা। তবে মানবাধিকার কর্মী তথা ব্রিটিশ নাগরিক ডেসমন্ড কুটিনহোর সঙ্গে শর্মিলার বিয়ে এক্ষুণি হচ্ছে না। এই বিয়ে যেহেতু আন্তঃজাতি বিবাহ, তাই 'স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট' অনুযায়ী এই বিয়ে নথিভূক্ত করতে হবে। আর তার জন্যই ৩০ দিনের 'নোটিশ পিরিয়ড' কাটাতে হবে উভয়কেই যাতে এই বিয়েতে কারও কোনও সঙ্গত আপত্তি থাকলে তিনি তা জানাতে পারেন। তবে শর্মিলা যে একেবারেই বিশ্রাম নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তিনি এখন আধার কার্ড ইত্যাদি তৈরির জন্য রীতিমত সচেষ্ট। এদিকে, শর্মিলার দাদাকে এই বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান যে শর্মিলা সাবালিকা ফলে বিয়ে করতেই পারেন। কিন্তু এই বিয়ের বিষয়ে যে পরিবারের কেউ অবহিত নয়, এটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই নেই শর্মিলার।

তবে জাত প্রতিবাদী শর্মিলা বলছেন তিনি মোটেই তাঁর লক্ষ্য থেকে সরেননি, শুধু পাল্টেছেন পথ। নতুন পথে পুরানো মতে তিনি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছেন। আপাতত তিনি চোয়াল শক্ত করে তার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন পুরো দমে। (আরও পড়ুন- শর্মিলা, ভালবেসে ভোটে লড়ুন, আপনার জয় হোক)

.