ত্রাণের অভাবে উত্তরাখণ্ডের স্থানীয়রা লড়াই করছেন খাদ্য, বাসস্থানের জন্য

বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে বহু গ্রাম। ভেসে গিয়েছে ফসল সহ চাষের জমি। যাতায়াতের রাস্তা বা সেতুগুলিকেও গ্রাস করেছে ফুঁসতে থাকা নদী। উত্তরাখণ্ডের দুর্গত এলাকাগুলি থেকে পর্যটক আর তীর্থযাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। সরকারি সাহায্যের সেই ছোঁয়া কিন্তু ততটা পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। সব হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই নতুন দিনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

Updated By: Jun 28, 2013, 07:44 PM IST

বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে বহু গ্রাম। ভেসে গিয়েছে ফসল সহ চাষের জমি। যাতায়াতের রাস্তা বা সেতুগুলিকেও গ্রাস করেছে ফুঁসতে থাকা নদী। উত্তরাখণ্ডের দুর্গত এলাকাগুলি থেকে পর্যটক আর তীর্থযাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। সরকারি সাহায্যের সেই ছোঁয়া কিন্তু ততটা পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। সব হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই নতুন দিনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
পাহাড়ের গায়ে একটু একটু করে গড়ে তোলা বসত। মাথা গোঁজার ঠাঁই। ধাপে ধাপে বছর ভরের চাষআবাদ।
সবই গ্রাস করেছে ফুঁসতে থাকা ভাগীরথী। একলহমায় বাসিন্দাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে খোলা আকাশের নীচে।
উত্তরাখণ্ডের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ জেলা উত্তরকাশী। এখান থেকে গঙ্গোত্রী যাওয়ার রাস্তার ধারেই ছিল একের পর এক গ্রাম। বন্যায় সবই কার্যত নিশ্চিহ্ন। নদীর পথ বদল ভেঙে দিয়েছে যোগাযোগের সেতুও।
পাহাড়ের কোলের গ্রাম মানেরি। সেখানে যোগাযোগের সব রাস্তাই আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন।
গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়ে চলছে আটকে পড়া পর্যটক আর তীর্থ যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ। কিন্তু মানেরি গ্রামের মতো ভেসে যাওয়া এই জনপদগুলির বাসিন্দাদের নিয়ে এখনও তেমন কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।
মানেরি মতো এই গ্রামগুলিতে পৌঁছচ্ছে না ত্রাণ। নেই কোনও যোগাযোগের রাস্তা। কী ভাবে বাঁচবেন, জানেন না বাসিন্দারা। ফুঁসতে থাকা ভাগীরথীর পাড়ে নতুন জীবনের খোঁজে ফের শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছেন তাঁরা।
 

.