প্রমাণ ছাড়াই ইউপিএ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নেমেছিল বিজেপি: মনমোহন

২০১১ সালে ইউপিএ-টু সরকারের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় এ রাজা, কানিমোঝি সহ ১৭ জনের। এরপরই সিবিআই জেরায় রাজা দাবি করেন, টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে কোনও দুর্নীতি হয়নি। গোটা বিষয়টি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে জানিয়েই করা হয়েছে।

Updated By: Dec 21, 2017, 03:25 PM IST
প্রমাণ ছাড়াই ইউপিএ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নেমেছিল বিজেপি: মনমোহন

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২জি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেতেই বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানাল বিরোধীরা। আর সেই আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বললেন, ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চলছিল।

বৃহস্পতিবারই ইউপিএ-২ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার টু-জি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ১৭ জনকে বেকসুর খালাস করেছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। ২০১১ থেকে চলা মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতে বেকসুর খালাস পান ডিএমকে নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ রাজা, করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি সহ ১৭ জন। বিচারক জানিয়েছেন, সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

স্বাধীনোত্তর ভারতের সব থেকে বড় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি বলেন, ''বিচারকের রায়েই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চলছিল।'' রায়কে স্বাগত জানিয়ে মনমোহন বলেন, ''কোনও সঠিক প্রমাণ ছাড়াই ইউপিএ-র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে বিরোধীরা''।

আরও পড়ুন- ২জি কেলেঙ্কারি মামালায় বেকসুর খালাস কানিমোঝি, এ রাজা-সহ সব অভিযুক্ত

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল আদালতের এই রায়কে তাদের নৈতিক জয় বলে দাবি করে বলেন, ''আমাদের বিরুদ্ধে এতদিন অপপ্রচার চালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির।'' প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, ''বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা।''

২০১১ সালে ইউপিএ-টু সরকারের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় এ রাজা, কানিমোঝি সহ ১৭ জনের। এরপরই সিবিআই জেরায় রাজা দাবি করেন, টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে কোনও দুর্নীতি হয়নি। গোটা বিষয়টি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে জানিয়েই করা হয়েছে। তাঁর এই বয়ানে মামলায় নাম জড়ায় মনমোহন সিংয়েরও। এই নিয়ে গত ৬ বছরে বিরোধীদের তরফে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মনমোহনকে। বৃহস্পতিবারের রায়ে অবশেষে যেমন স্বস্তি ডিএমকে শিবিরে, তেমনই চওড়া হাসি দেখা গেল মনমোহনের মুখেও।

 

তবে, এই রায়কে কোনও ভাবেই চূড়ান্ত বলে মানতে নারাজ মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেন, ''সিবিআই-এর বিশেষ আদালত এই মামলায় রায় দিয়েছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট টু-জি মামলার বিষয়টি দেখছে। তারা এই গোটা প্রক্রিয়াটিকেই অস্বচ্ছ ও সরকারের ক্ষতির উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে।''

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের এই রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে উচ্চ আদালতে আপিল করতে চলেছে সিবিআই।

.