মায়া-মমতায় সমস্যা নেই, কংগ্রেসকে তাড়ান, ডাক মোদীর

লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের থেকে বিরোধীদের আলাদা করার কৌশল নিলেন মোদী? 

Updated By: Nov 28, 2018, 06:50 PM IST
মায়া-মমতায় সমস্যা নেই, কংগ্রেসকে তাড়ান, ডাক মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে কৌশলে বদল? নাকি বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা? মঙ্গলবার কংগ্রেসের থেকে যেভাবে বিরোধীদের আলাদা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তেলেঙ্গানার নিজামবাদের সভায় কংগ্রেসকে বিঁধতে গিয়ে বিরোধী নেতানেত্রী বিরুদ্ধে নরম অবস্থান নিলেন নরেন্দ্র মোদী। 

মঙ্গলবার নিজামবাদের সভায় মোদী বলেন, ''মায়াবতী বা অখিলেশকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই উত্তরপ্রদেশের। মমতা বা বামেদের নিয়ে আপত্তি নেই পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু কংগ্রেসকে দেশ থেকে তাড়াতে হবে''। মোদীর বিরুদ্ধে মায়াবতী, মমতা ও বামপন্থীরাই সোচ্চার, অথচ তাঁদেরই ছাড়  দিলেন প্রধানমন্ত্রী।  আরও একটা বিষয় লক্ষণীয়, যে চন্দ্রবাবু মহাজোট নিয়ে হিল্লি-দিল্লি করে বেড়াচ্ছেন, তাঁকে নিয়ে একটা বাক্যও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। অথচ মোদীকে যিনি সমর্থন দেওয়ার কথা দিল্লি গিয়ে বলে এসেছেন, তাঁকে একের পর এক বাক্যবাণে বিঁধেছেন নমো।   

অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে আগামীর  ভাবনা। বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী মহাজোট গড়ে তোলার সলতে পাকানো শুরু করেছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। দিন কয়েক আগে নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দিল্লিতে বৈঠক রয়েছে বিরোধী নেতানেত্রীদের। সেখানে থাকবেন মায়া-মমতা-অখিলেশও। সে কারণে বিরোধী জোট থেকে কংগ্রেসকে আলাদা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী, মত  রাজনৈতিক মহলের একাংশের। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে জোটের পথও খোলা রাখতে চাইছেন নমো। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগে থমকে গেলে বিরোধী শিবিরের সমর্থন দরকার পড়বে। সেই পথই প্রশস্ত করার কাজ শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মায়া-মমতাকে ছাড় দিয়ে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে মোদী বার্তা দিলেন, কংগ্রেস ছাড়া বাকিদের নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। 

তবে দিল্লির এহেন কৌশল কতটা বাস্তবমুখী? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলায় বিজেপির সংগঠনে জোয়ার এসেছে, বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী হাওয়ার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মমতার প্রতি মোদীর নরম অবস্থান নিশ্চিতভাবেই বড় ধাক্কা বিজেপির সংগঠনে। বলার অপেক্ষা রাখে না, তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তা দিলীপ ঘোষদের পক্ষে সুখকর হবে না। 

আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী 'patha' চট্টোপাধ্যায়, ভাইরাল সোশ্যালে

.