বিমান বন্দরের টার্মিনাল উদ্বোধনেও `আমরা-ওরার` রাজনীতি

আগামিকাল কলকাতা বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি। থাকবেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। তবে অসামরিক বিমান পরিবহণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিবহণ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সীতারাম ইয়েচুরি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। ফলে নতুন করে কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের দায়িত্ব কোন সংস্থাকে দেওয়া হবে এনিয়ে গোড়ার দিকে রীতিমতো টানাপোড়েন চলে।

Updated By: Jan 19, 2013, 11:36 PM IST

আগামিকাল কলকাতা বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি। থাকবেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। তবে অসামরিক বিমান পরিবহণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিবহণ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সীতারাম ইয়েচুরি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। ফলে নতুন করে কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের দায়িত্ব কোন সংস্থাকে দেওয়া হবে এনিয়ে গোড়ার দিকে রীতিমতো টানাপোড়েন চলে।
দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। তবে বামেদের উদ্যোগেই কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের দায়িত্ব পায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়া।  এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ২০০৮ সালে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। পরিবহণ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। এই স্ট্যান্ডিং কমিটিই অসামরিক বিমান পরিবহণের বিষয়টি দেখে।
প্রকল্প শেষের সময়সীমা একাধিকবার পিছনোর পর অবশেষে রবিবার উদ্বোধন হবে নয়া টার্মিনালের। যদিও অপারেশনাল ট্রায়াল হবে ২৩ জানুয়ারি। এয়ারপোর্ট অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান সৌগত রায় জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে তেইশ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া খুব শিগগরিই নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার গড়ার কাজও শুরু হবে। এজন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে দুশো চল্লিশ কোটি টাকা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, নতুন টার্মিনাল চালু হলে ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হবে মালয়েশিয়া, জিয়ামেন, তুর্কি, জাপান এবং দুবাইয়ের বিমান সংস্থাগুলি। তবে পরিবহণ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থাকা সত্বেও অনুষ্ঠানের মঞ্চে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সীতারাম ইয়েচুরিকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উন্নয়ন প্রকল্পের কৃতিত্ব বামেদের দিতে না চাওয়ার কারণেই এক্ষেত্রেও বজায় থাকল আমরা-ওরার রাজনীতি।

.