নয়ডায় হিংসা, আম্বালাতে মৃত্যু, ধর্মঘটের প্রভাব সারা ভারতে
ধর্মঘট ঘিরে আচমকা হিংসার ঘটনা ঘটল নয়ডায়। ধর্মঘটের দিন কারখানা খোলা রাখার প্রতিবাদে নয়ডা ফেজ টুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। খোলা কারখানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির সঙ্গে চলে অবাধে ভাঙচুর। বিক্ষোভকারীরা পরপর কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকলের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিস। হিংসায় কয়েকজন পুলিসকর্মীসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এই হিংসার তীব্র সমালোচনা করেছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
ধর্মঘট ঘিরে আচমকা হিংসার ঘটনা ঘটল নয়ডায়। ধর্মঘটের দিন কারখানা খোলা রাখার প্রতিবাদে নয়ডা ফেজ টুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। খোলা কারখানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির সঙ্গে চলে অবাধে ভাঙচুর। বিক্ষোভকারীরা পরপর কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকলের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিস। হিংসায় কয়েকজন পুলিসকর্মীসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এই হিংসার তীব্র সমালোচনা করেছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দুদিনের সাধারণ ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালবেলায় খুন হলেন শ্রমিক নেতা। আজ আম্বালা বাস স্ট্যান্ডে বনধের সমর্থনে জমায়েত হয় স্থানীয় এআইটিইউসির সমর্থকরা। অভিযোগ, মালিকপক্ষ জোর করে বাস বের করার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই এআইটিইউসির ট্রেজারার নরেন্দ্র সিং-এর উপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত এই ঘটনার নিন্দা করে জানান, ঘৃণ্য এই ঘটনা সত্ত্বেও শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, "আমাদের ধর্মঘট ভাঙার জন্য সরকার পক্ষ এবং মালিক পক্ষ এক জোট হয়ে ধর্মঘট বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে। সারা দেশের শ্রমিকরা ধর্মঘটকে সফল করে শহীদ নরেন্দ্র সিং-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।"
এগারোটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দুদিনের ধর্মঘটের প্রথম দিনে দেশজুড়ে প্রভাব পড়েছে। দিল্লিতে অটো-ট্যাক্সি চলাচল করছে না। এআইটিইউসি নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তর নেতৃত্বে আজ সংসদ মার্গ থেকে যন্তর-মন্তর পর্যন্ত মিছিল করেন ধর্মঘটীরা।
মুম্বইয়েও ধর্মঘটী শ্রমিক সংগঠনগুলি পথে নেমেছে। জনজীবন ব্যাহত না হলেও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। লোকাল ট্রেন ও যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা কম।
ধর্মঘটে স্তব্ধ ত্রিপুরার জনজীবন। স্কুল-কলেজ-অফিস সবই বন্ধ। আগরতলা থেকে বিমান চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে বাস ও ট্রেন চলাচল। ধর্মঘটে ব্যাহত কেরালার জনজীবন। তিরুবনন্তপুরম, কোচি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন চলাচল করছে না। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। খোলেনি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যানবাহনের অভাবে ভুবনেশ্বরে রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ধর্মঘটের সমর্থনে চলছে মিছিল। চণ্ডীগড়, ভোপাল, পাটনা, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ, কানপুর সর্বত্রই ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। কর্নাটক, ঝাড়খণ্ডে ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। কর্নাটকের বল্লারিতে বাসে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। কর্মীরা ধর্মঘটে অংশ নেওয়ায় দেশের সর্বত্র ব্যাহত হচ্ছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।