নোট বাতিল ইস্যুতে কাল আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে সংসদ!
নোট বাতিল ইস্যুতে কাল আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে সংসদ। আগামী সাতদিন সংসদের দুই কক্ষে, সব সাংসদকে হাজির থাকতে হুইপ জারি করেছে তৃণমূল। দলের লোকসভা সদস্যদের জন্য হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদদের হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে বিজেপিও। ফলে জোরালো হচ্ছে ভোটাভুটির জল্পনা। রণনীতি ঠিক করতে, কাল সকাল সাড়ে নটায় বৈঠকে বসছে তৃণমূল ও কংগ্রেস সহ বেশ কিছু প্রধান বিরোধী দল। নোট বাতিল নিয়ে কি শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটির পথেই যেতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে? শাসক আর বিরোধী শিবিরের প্রস্তুতি দেখে তেমনটাই মনে হওয়ার কথা। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অল আউট অ্যাটাকে তৃণমূল।
ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিল ইস্যুতে কাল আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে সংসদ। আগামী সাতদিন সংসদের দুই কক্ষে, সব সাংসদকে হাজির থাকতে হুইপ জারি করেছে তৃণমূল। দলের লোকসভা সদস্যদের জন্য হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদদের হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে বিজেপিও। ফলে জোরালো হচ্ছে ভোটাভুটির জল্পনা। রণনীতি ঠিক করতে, কাল সকাল সাড়ে নটায় বৈঠকে বসছে তৃণমূল ও কংগ্রেস সহ বেশ কিছু প্রধান বিরোধী দল। নোট বাতিল নিয়ে কি শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটির পথেই যেতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে? শাসক আর বিরোধী শিবিরের প্রস্তুতি দেখে তেমনটাই মনে হওয়ার কথা। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অল আউট অ্যাটাকে তৃণমূল।
আরও পড়ুন মান রাখতেই 'হাসির রাজা'কেই সেনাপতি বানালেন কেজরি
আগামী সাত দিন দলের সব সাংসদকে লোকসভা ও রাজ্যসভায় হাজির থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে হুইপ জারি করেছে তৃণমূল। হুইপ জারি বিজেপির তরফেও । আগামী তিনদিন রাজ্যসভায় সব সাংসদদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি একাই ২৮০। সংসদের নিম্নকক্ষে বেরিয়ে গেলেও, রাজ্যসভায় কঠিন হার্ডল ।২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ ৫৫। সেখানে এককভাবে কংগ্রেসের হাতে ৬০ জন সাংসদ। রাজ্য সভায় তৃতীয় শক্তিশালী দল সমাজবাদী পার্টি -১৯। চতুর্থ স্থানে AIADMK - ১৩। ১২ জন সাংসদ নিয়ে পঞ্চম স্থানে তৃণমূল। ষষ্ঠ স্থানে জেডিইউ - ১০। এছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন দলের আরও ৭৬ জন সাংসদ। রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে এই চার শক্তি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল, সপা, AIADMK, জেডিইউ-র মতো দলকে পাশে পেতে চাইবে বিজেপি-কংগ্রেস দুপক্ষই। নোট কাণ্ডে প্রথম থেকে সবচেয়ে সরব তৃণমূল। একমাত্র তারাই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। তৃণমূলের চোটপাট ভাঙতে চিটফান্ড প্রতারণা ইস্যুতে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। নোটকাণ্ডে তৃণমূল সরব হতেই রাজ্যে চিটফান্ড প্রতারণা নিয়ে ফের আসরে সিবিআই। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। এই চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ফ্লোরে গিয়ে যাতে বিরোধী ঐক্যে ফাটল না ধরে, তার জন্য তত্পর বিরোধীরা। তবে এই সম্মিলিত মোদী বিরোধিতার মধ্যে কেউ কেউ একটু বেসুরোও ঠেকছেন।
আরও পড়ুন উত্তর প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?