১১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৫০ ডিগ্রি

১১৬ বছরের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে এ বছরের গরম। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। এল নিনোর প্রভাবে বর্ষাও মার খাওয়ার সম্ভাবনা। দুইয়ে মিলে ফের খরার চোখরাঙানি। এমনটাই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।

Updated By: Mar 29, 2017, 09:01 AM IST
১১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৫০ ডিগ্রি

ওয়েব ডেস্ক: ১১৬ বছরের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে এ বছরের গরম। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। এল নিনোর প্রভাবে বর্ষাও মার খাওয়ার সম্ভাবনা। দুইয়ে মিলে ফের খরার চোখরাঙানি। এমনটাই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।

নাহ্, তালপাখাতে আরাম মেলার কোনও চান্স নেই। মার্চেই পিচ গলছে। চামড়া পুড়ছে। গনগনে আগুন ছেট্টাচ্ছে সূর্য। রাস্তাঘাট, ট্রেন, বাস, ট্রাম রীতিমতো গলদঘর্ম। ঘামে ভিজে সপসপ করছে শরীর। ভারতীয় আবহবিদরা বলছেন, মার্চ থেকে মে মাসের গরম ১১৬ বছরের রেকর্ড ভাঙবে।

২০১৬ই ছিল এখনও পর্যন্ত বিশ্বের উষ্ণতম বছর। সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। ১৮৮০ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু। সেই ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে এবং জুনের কিছুটা সময় তাপমাত্রার পারদ থাকবে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবেই এই তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা।

সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে হাওয়া দফতরের আশঙ্কা।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের দাবি, গত ১১০ বছরে ভারতের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৩০ বছরে হিটওয়েভও বেড়েছে অনেকটাই। শুধু গরমই নয়। বর্ষাও এবার সঙ্কটে। প্রশান্ত মহাসাগরের জলতলের তাপমাত্রা অন্তত ৩ মাস ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলে, সেই পরিস্থিতিকে বলে এল নিনো।

এ বছর ফের প্রশান্ত মহাসাগরে উঁকি দিচ্ছে এল নিনো। আবহবিদদের দাবি, এই এল নিনোর প্রভাবে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই কম। বিশেষ করে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে।

তাহলে কি ফের খরার কবলে পড়তে চলেছে দেশ? ফের কি আশঙ্কার মেঘ কৃষির ওপর? একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে যদি বর্ষায় ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে তো সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। এমনটাই বলছেন আবহবিজ্ঞানীরা।

.