অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য: মোদীর উপস্থিতির উল্টোদিকে অস্তিত্ব জানান দিতেই কি সোনিয়া তনয়ের নয়া চাল? জল্পনা বিশেষজ্ঞমহলে

অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে শোরগোল দেশজুড়ে। জনমোহিনী ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই কি কংগ্রেস সহ-সভাপতির এই প্রকাশ্য বিরোধিতা? নাকি মোদীর দাপুটে উপস্থিতির উল্টোদিকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে সোনিয়া-তনয়ের এই নয়া কৌশল? এর পিছনে কিন্তু জটিল রাজনৈতিক অঙ্কের হিসেব দেখছে বিশেষজ্ঞমহল।    

Updated By: Sep 28, 2013, 09:27 AM IST

অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে শোরগোল দেশজুড়ে। জনমোহিনী ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই কি কংগ্রেস সহ-সভাপতির এই প্রকাশ্য বিরোধিতা? নাকি মোদীর দাপুটে উপস্থিতির উল্টোদিকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে সোনিয়া-তনয়ের এই নয়া কৌশল? এর পিছনে কিন্তু জটিল রাজনৈতিক অঙ্কের হিসেব দেখছে বিশেষজ্ঞমহল।    
 সারপ্রাইজই দিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। তাঁর মন্তব্য গোটা দেশকে বিস্মিত করেছে। তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক।  
 
সরকারকে তুলোধনা করলেন। বিরোধীদের পাশাপাশি নিজের দলকেও কাঠগড়ায় তুললেন। সবটাই ক্ষিপ্ত গলায়, কড়া ভাষায়। নো ননসেন্স অ্যাটিচিউডে। দেশের মানুষ এই অর্ডিনান্সের বিরুদ্ধে। আম-আদমির নার্ভ বুঝতে ফেল করেননি তাঁদের স্বঘোষিত নেতা। যেন বোঝাতে চাইলেন, সরকার ভুল করেছে। তিনি ভুল করবেন না। আর তা প্রমাণ করতে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় যেতেও যে তিনি পিছপা হবেন না, তা হাড়েহাড়ে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু আচমকা কেন এই রাগের বিস্ফোরণ? সবটাই কি লোকসভা ভোটের আগে নিজের জনমোহিনী ভাবমূর্তি তুলে ধরার কৌশল?

রাহুল গান্ধী যেদিন এই কথাগুলি বললেন তার দিন ছয়েক আগেই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল।
ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। এক সপ্তাহের মধ্যে রাহুল প্রকাশ্যে যে বিস্ফোরণ ঘটালেন, তার সবটাই কি সোনিয়া গান্ধীর অজান্তে?
নাকি রাহুলের এই বক্তব্যের নেপথ্যে আসলে কাজ করছে আরও বড় কোনও রাজনৈতিক কৌশল?
প্রধান বিরোধী শিবির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের মুখ কে হবেন, তা এখনও স্পষ্ট করেনি দল। যদিও বারবার উঠছে রাহল গান্ধীর নাম।
মোদী-ক্যারিশমার সামনে ছেলেকে তুলে ধরতে এটা কি তবে সোনিয়া গান্ধীরই কৌশল? এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 
দুর্নীতি নিয়ে দেশের মানুষ ক্ষিপ্ত, ক্ষুব্ধ। সেখানে রাহুলের এই কড়া অবস্থান তাঁকে যে অনেকটাই রাজনৈতিক মাইলেজ দেবে তা বলাই বাহুল্য। আম-আদমির কাছের মানুষ হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন কংগ্রেসের যুবরাজ। এর ওপর আবার রয়েছে দলের নবীন-প্রবীণ প্রজন্মের বিরোধ। তরুণদের নিয়ে গড়া রাহুল ব্রিগেড নিজের জায়গা তৈরিতে ব্যস্ত। সেখানে পুরনোদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বারবার সামনে চলে এসেছে।
অর্ডিনান্স ইস্যুতে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। ঠারেঠোরে নয়, একেবারে সরাসরি সংঘাত। দাগীদের আড়াল করা সাধারণ মানুষ যে পছন্দ করবে না, সেটা বুঝেই তাঁদের এই না চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্রোহের পথে হাঁটলেন রাহুল। এই পথ দশ জনপথ থেকে তাঁকে সাত নম্বর রেসকোর্সের দিকে কতটা এগিয়ে দিতে পারে সেটাই এখন

.