ইন্দ্রাণীর ঘটনা সারাজীবন তাড়া করবে পিটারকে: সুহেল শেঠ

শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে হতবাক পিটার মুখার্জির বহুদিনের বন্ধু মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুহেল শেঠ। তার জবানিতে উঠে এল পিটার-ইন্দ্রাণীর জীবনের গল্পো-

Updated By: Aug 27, 2015, 09:15 PM IST
ইন্দ্রাণীর ঘটনা সারাজীবন তাড়া করবে পিটারকে: সুহেল শেঠ

ওয়েব ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে হতবাক পিটার মুখার্জির বহুদিনের বন্ধু মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুহেল শেঠ। তার জবানিতে উঠে এল পিটার-ইন্দ্রাণীর জীবনের গল্পো-

পিটার মুখার্জিকে আমি ১৫ বছর ধরে চিনি। আমারই নিমন্ত্রণে এক পার্টিতে এসে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওর। তাজ প্রেসিডেন্টের লাইব্রেরি বারে আমি, সুমন্ত দত্ত(স্টার এক্সিকিউটিভ) ও মুরলী দেওয়া একটি টেবিলে বসেছিলাম। পিটারও ওর তখনকার প্রেমিকা স্বপ্নার সঙ্গে আমাদের টেবিলেই বসেছিল। হঠাত্ই আলেক পদমসি একজন সুন্দরী মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। আমাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন।

ইন্দ্রাণী আমাকে মনে করিয়ে দেয় তার সঙ্গে সিসি অ্যান্ড এফসিতে আমার একবার দেখা হয়েছিল। স্বামী সঞ্জীব খান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাও জানায়। ইন্দ্রাণীকে পিটারের এতই পছন্দ হয়ে যায় যে স্বপ্নাকে ছেড়ে তখনই ইন্দ্রাণীর সঙ্গে বেরিয়ে যায়। পরে আমি ও সুমন্ত্র স্বপ্নাকে বাড়ি পৌঁছে দিই।

এর ২ দিন পর দিল্লি ফিরে এসে আমি ইন্দ্রাণীকে ফোন করি ওর খোঁজখবর নিতে। তার ঠিক ২ মিনিট পরই পিটার আমাকে ফোন করে জানায় ইন্দ্রাণীকে বিয়ে করার কথা ভাবছে। তাই আমি যেন ওকে অন্য দৃষ্টিতে দেখি। এরপর থেকে আমি সেটাই করেছি। এর ৩ মাস পর ইন্দ্রাণীকে বিয়ে করে পিটার। পোচকানওয়ালা রোডে পিটারের বাড়িতে একটি ছোট অনুষ্ঠানে বিয়ে হয় ওদে। মেয়ে বিধি ছাড়া ইন্দ্রাণীর পরিবারের কেউ ছিল না সেদিন। বিয়ের পর হানিমুন থেকে ফিরে ১ মাস পর পিটার আমাকে ফোন করে একসঙ্গে পার্টি করার কথা বলে। আমি ওদের দুজনের জন্য একটা পার্টির পার্টির আয়োজন করেছিলাম। পিটারের অন্য বন্ধুরাও এসেছিল।

পিটার স্টার ছেড়ে বেরিয়ে আইএনএক্স তৈরি করার পর থেকে আমাদের সেভাবে আর যোগাযোগ ছিল না। মাঝে মাঝে যখন দেখা হত তখন বিধির প্রতি পিটারের ভালোবাসা দেখে ভাল লেগেছিল আমার।  ধীরে ধীরে অসমের এক সাধারণ মেয়ে থেকে মিডিয়া টাইকুন হয়ে উঠছিল। আইএনএক্স তৈরির সময় ওরা ব্রিস্টল চলে যায়। সেখানেই বিধি পড়াশোনা শুরু করে। ৩ বছর পর ইন্দ্রাণী ফোন করে জানায় পিটার বম্বে আসছে, আমাকে নৈশভোজে যেতে বলে এর সঙ্গে। আমি সেই সময় নিউ ইয়র্কে ছিলাম। তাই পরে ওদের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করি। সেই ওদের সঙ্গে আমার শেষ দেখা।

ইন্দ্রাণী বরাবরাই খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিল। পিটারও সবসময় ওকে সাহায্য করতো। শেষ কয়েকদিনের ঘটনায় আমি সত্যিই বিস্মিত। আমি ভাবতেই পারছি না আমাদের জানার বাইরে ইন্দ্রাণীর একটি পরিবার ছিল। পিটারও খুবই স্তম্ভিত। তবে সত্যি সামনে আসার অপেক্ষা করতেই হবে।

এই ভয়ঙ্কর ঘটনা পিটারকে সারাজীবন তাড়া করে বেড়াবে।

.