শুরু থেকেই আমায় ঘুঁটি করা হয়েছিল, বিচ্ছেদের আবেদনের পর দাবি তেজপ্রতাপের

স্ত্রী ঐশ্বর্যের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে পটনা আদালতে আবেদনের কথা স্বীকার করে নিলেন লালুপ্রসাদের পুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। তাঁর কথায়, ''আমি সাধারণ পুরুষ। ঐশ্বর্য আধুনিকা, শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত''। এর পাশাপাশি বিয়ের পর দুজনের মধ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তেজপ্রতাপ। একইসঙ্গে যাদব পরিবারের দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এনেছেন লালুপুত্র। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, তাঁকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। 

Updated By: Nov 3, 2018, 05:24 PM IST
শুরু থেকেই আমায় ঘুঁটি করা হয়েছিল, বিচ্ছেদের আবেদনের পর দাবি তেজপ্রতাপের

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রী ঐশ্বর্যের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে পটনা আদালতে আবেদনের কথা স্বীকার করে নিলেন লালুপ্রসাদের পুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। তাঁর কথায়, ''আমি সাধারণ পুরুষ। ঐশ্বর্য আধুনিকা, শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত''। এর পাশাপাশি বিয়ের পর দুজনের মধ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তেজপ্রতাপ। একইসঙ্গে যাদব পরিবারের দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এনেছেন লালুপুত্র। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, তাঁকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। 

জি বিহার-ঝাড়খণ্ড চ্যানেলকে ফোনে তেজপ্রতাপ জানিয়েছেন,  নিজেদের মতলবের জন্য তাঁকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন পরিজনরা। বিয়ের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। 

তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তেজপ্রতাপ। পরিবারের চাপের কারণেই ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না বলেও স্পষ্ট করেছেন তেজপ্রতাপ। তাঁর কথায়, ''আমি মা-বাবাকে বলেছিলাম, বিয়ে করব না। কিন্তু আমার কথা শোনা হয়নি। আমাদের মধ্যে কোনও মিল নেই। আমি সাধারণ ছেলে। ঐশ্বর্য আধুনিক মহিলা, দিল্লিতে শিক্ষিত। শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত। জোর করে আমায় বিয়ে দেওয়া হয়েছিল''।

ছোট ভাই তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কি এব্যাপারে আলোচনা করেছেন? তেজপ্রতাপ বলেন, ওঁর সঙ্গে আমার রাজনীতি নিয়েই আলোচনা হয়। এই ধরনের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।  

চলতিবছরের ১৪ মে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্য। পটনায় বিবাহের এলাহি আয়োজনও হয়েছিল। সেখানে হাজির হয়েছিল রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতের পরিচিতরা। বিহারের ভেটেনারি কলেজে তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্যার বিবাহে হাজিরা হয়েছিলেন নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ও অভিষেকর মনু সিঙ্ঘভি। বলে রাখি, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রিকা রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্য। ২০১৯ সালে সারন লোকসভা কেন্দ্রে তিনি দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল।    

আরও পড়ুন- ধর্মনিরপেক্ষ নয়, হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে সরব নেপালের মুসলিমরা

.