লোকপাল ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়া করল তৃণমূল কংগ্রেস

লোকপাল ইস্যুতে শরিক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়া করল তৃণমূল। লোকপাল বিল পেশের গোটা প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে রাজ্যসভায় ভোটাভুটি এড়াল কংগ্রেস তা সংসদীর রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Updated By: Dec 30, 2011, 10:50 AM IST

লোকপাল ইস্যুতে শরিক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়া করল তৃণমূল। লোকপাল বিল পেশের গোটা প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে রাজ্যসভায় ভোটাভুটি এড়াল কংগ্রেস তা সংসদীর রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্যুতে শরিক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করবে তাঁরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর কৌশল নিলেও এখনই সমর্থন তোলার পথে হাঁটবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভায় বির্তকের সময়ই তৃণমুল কংগ্রেস লোকপাল বিলে রাজ্যে লোকাযুক্ত গঠনের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে এই প্রস্তাব রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের সামিল। লোকসভায় লোকপাল বিল পেশের পদ্ধতি নিয়েও তীব্র আপত্তি ছিল তৃণমূলের। সেই ক্ষোভের থেকেই একাধিক সংশোধনী আনে তৃণমূল। 
 

বৃহস্পতিবার যেভাবে রাজ্যসভায় লোকপাল বিল নিয়ে পিছু হটেছে কংগ্রেস, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। লোকপাল নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা জোটের শরিকদেরও মাথানত করল বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরিক তৃণমূলের মতে সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এটা একটা কলঙ্কজনক ঘটনা। 
এখানেই প্রশ্ন এরপর কী করবে তৃণমূল কংগ্রেস? রাজনৈতিক মহলের মতে তৃণমূলের সামনে এখন দুটি পথ খোলা। কেন্দ্রে কংগ্রেসের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে ইউপিএ সরকার থেকে বেরিয়ে আসা। অথবা শরিকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যরাজনীতির সমীকরণ মাথায় রেখে এই মূহূর্তে কংগ্রেসের ওপর থেকে সমর্থন তোলা কঠিন। ফলে এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আপাতত দূরত্ব বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়া করার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের সমালোচনা করবে তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এফডিআই সহ একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। সমর্থন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই প্রক্রিয়ায় বাড়তি হাতিয়ার এনে দিল।

 

.