'দেশ কি বেটি' বনাম 'কন্যাশ্রী'; জাতীয় কন্যাদিবসে টুইট-যুদ্ধ মোদী-মমতার

দু'জনেই যেন মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর একক কৃতিত্ব দাবি করেছেন, মত একাংশের।

Updated By: Jan 24, 2021, 03:43 PM IST
'দেশ কি বেটি' বনাম 'কন্যাশ্রী'; জাতীয় কন্যাদিবসে টুইট-যুদ্ধ মোদী-মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় কন্যাসন্তান দিবসেও নেতাজি জন্মদিবসের ছায়া। রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ভারতে 'ন্যাশনাল গার্লচাইল্ড ডে'। এই দিনটিকে কেন্দ্র করেও নেতাজি জন্মদিবসের নামকরণ-পর্বের মতোই জারি রইল মোদী-মমতা যুদ্ধ।

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে নানা ভাবে ভেবেছে সারা বিশ্ব। বিশেষ করে ভেবেছে সেই সব দেশ, যাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে থেকেছে। তেমনই দেশ ভারত (India)। মেয়েদের সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। এ দেশে প্রতিদিন মেয়েদের যে লিঙ্গবৈষম্যের (gender inequality) শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কে সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যেই ২৪ জানুয়ারি দিনটিকে 'জাতীয় কন্যাসন্তান দিবস' (National Girl Child Day) হিসাবে উদযাপন করা শুরু হয়। ২০০৮ সালে ভারত সরকার (Government of India) এবং মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক এই দিনটিকে কেন্দ্র করেই লিঙ্গসমতা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

রবিবার সকালের দিকে এই বিশেষ দিনের সূত্রে একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি লেখেন, 'জাতীয় কন্যাসন্তান দিবসে আমাদের দেশ কি বেটিদের (DeshKiBeti) সম্মান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। মেয়েদের ক্ষমতায়নে কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। এই সব প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ  দেওয়া হয়।' লিঙ্গসংবেদনশীলতার (improving gender sensitivity) প্রশ্নটিকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা টুইটে উল্লেখ করেন তিনি।

Also Read: 'ছেলেকে বোঝান', এবার PM Modi-র মা'কে চিঠি লিখলেন কৃষকরা

এদিনের অনুষঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পের উল্লেখ করে যাঁরা মেয়েদের উন্নতির জন্য (empowering the girl child) যাঁরা কাজ করেন, মোদী তাঁদেরও প্রশংসা করেন টুইটে।

রবিবারই মোদীর টুইয়ের কিছু পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) এ বিষয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'আজ জাতীয় কন্যাসন্তান দিবস। বাংলায় কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree Scheme) মেয়েদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করেছে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN) এই প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রথম পুরস্কার দেয়।' মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্পের অধীনে থাকা স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ৬৯ লক্ষ মেয়ে (69 Lakh girls) আর্থিক সাহায্য পায়।

হ্যাঁ, ঠিকই যে, প্রত্যাশিত ভাবেই এখানে সরাসরি প্রতিপক্ষের প্রতি কোনও বার্তা নেই। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা: প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের টুইটে মেয়েদের বিষয়ে নিজেদের সরকার-পরিচালিত স্কিমগুলি উল্লেখ করে আসলে দু'জনেই মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর একক কৃতিত্বের কথাই যেন বিশেষ ভাবে বলতে চেয়েছেন। 

ফলে, জাতীয় কন্যাসন্তান দিবসে 'দেশ কি বেটি'র সঙ্গে মুখোমুখি প্রতিযোগিতায় দাঁড়িয়ে পড়ল 'কন্য়াশ্রী'।

Also Read: বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনায় বিশ্বে তৃতীয় ভারত

.