বিক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরে

রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরের লড়াই এখন তুঙ্গে। অভিজ্ঞ বিধায়কদের এবারও কেন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হল না? কোন যুক্তিতে কংগ্রেস ছেড়ে এসে একেবারে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়ে গেলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী? এমনই সব প্রশ্নকে ঘিরে ক্ষোভে ফুটছে তৃণমূলের একাংশ। কৃষি দফতরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে বেচারাম মান্না। শ্যামল মণ্ডলকে মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করে তাঁর জায়গায় মন্টুরাম পাখিরা। রচপাল সিংয়ের হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ দফতর কেড়ে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে সদ্য কংগ্রেস থেকে আসা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর হাতে।

Updated By: Nov 23, 2012, 10:21 PM IST

রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরের লড়াই এখন তুঙ্গে। অভিজ্ঞ বিধায়কদের এবারও কেন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হল না? কোন যুক্তিতে কংগ্রেস ছেড়ে এসে একেবারে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়ে গেলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী? এমনই সব প্রশ্নকে ঘিরে ক্ষোভে ফুটছে তৃণমূলের একাংশ। কৃষি দফতরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে বেচারাম মান্না। শ্যামল মণ্ডলকে মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করে তাঁর জায়গায় মন্টুরাম পাখিরা। রচপাল সিংয়ের হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ দফতর কেড়ে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে সদ্য কংগ্রেস থেকে আসা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর হাতে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ঘিরে তৃণমূল শিবির এখন অগ্নিগর্ভ। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। শুধু বিধায়ক পদ নয়, এবার একেবারে রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো নিজেকে গুটিয়ে না নিলেও, ক্ষোভে ফুঁসছেন শ্যামল মণ্ডল। কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল, তা এখনও জানেন না তিনি।
 
দফতর রদবদল নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক মন্ত্রী। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা দু`জনকে মন্ত্রি করায়। এর মধ্যে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল শিবিরের প্রশ্ন, ১. কী জন্য কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হল? ২. কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেই যদি এতটা পুরস্কার মেলে, তাহলে প্রথম দিন থেকে যাঁরা তৃণমূল করে আসছেন, তাঁদের পুরস্কার কী? ৩. কৃষ্ণেন্দু ও হুমায়ুন এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা নন, যাঁদের ওপর জেলা রাজনীতি নির্ভর করে। তাহলে কী কারণে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন তাঁরা?  
 
তাপস রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অশোক দেব, অশোক ঘোষ, সুজিত বসুর মতো তৃণমূলে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলের গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু এবারও মন্ত্রিসভায় কেন তাঁদের জায়গা হল না, ক্ষোভ অভিমানকে সম্বল করে উত্তর হাতড়াচ্ছে তৃণমূল শিবির? তবে ক্ষোভ যাই থাক না কেন, তৃণমূলের রাজনীতির ঘরানায় মুখ ফুটে বলা কারোরই সম্ভব নয়। অন্যদিকে, ক্ষোভের কথা জানা থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে সেই দল ছেড়ে আসা ব্যক্তিদের বাড়তি গুরুত্ব দেবেন তিনি।

.