অভিযোগ করে লাভ নেই, প্রমাণ দিলেই তদন্ত শুরু, কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা ক্যাগের
কম্পট্রোলার অডিটর অ্যান্ড জেনারেলের কাছে কংগ্রেসের আর্জি, ৬০,১৫০ কোটি টাকার রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ফরেনসিক নিরীক্ষণ করা হোক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কম্পট্রোলার অডিটর অ্যান্ড জেনারেলের কাছে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। তারা জানাল, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বিবৃতি দেওয়ার আগে অকাট্য প্রমাণ পেশ করুক কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার কম্পট্রোলার অডিটর অ্যান্ড জেনারেলের কাছে কংগ্রেসের আর্জি, ৬০,১৫০ কোটি টাকার রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ফরেনসিক নিরীক্ষণ করা হোক। চুক্তিতে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সে সব তথ্য সংসদে পেশ করা হোক। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতাদের ক্যাগ স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রমাণ নেই। তাই রাফালের অভিযোগ নিয়ে বেশিদূর তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়।
এদিন কম্পট্রোলার অব অডিটর জেনারেল রাজীব মেহঋষির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। একমাসের মধ্যে এনিয়ে দ্বিতীয়বার ক্যাগের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। ক্যাগকে এদিন একটি স্মারকলিপি দেন কংগ্রেস নেতারা। গত ১৯ সেপ্টেম্বরও ক্যাগের দফতরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন আহমেদ পটেল, আনন্দ শর্মা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, আরপিএন সিং ও বিবেক তাঙ্কা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, রাফাল চুক্তি বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে উচ্চস্তরে ষড়যন্ত্র চলেছে। ক্যাগে জমা দেওয়া কংগ্রেসের স্মারকলিপিতে লেখা রয়েছে, ''ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা দুর্নীতি রাফাল। প্রতিদিনই দুর্নীতির কঙ্কাল বেরিয়ে আসছে। কিন্তু নীরব অবস্থা নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। এবিষয়ে শীঘ্রই বিহিত করা দরকার ক্যাগের''।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কিনতে গিয়ে সরকার লোকসান করেছে ৪১,২০৫ কোটি টাকা। প্রযুক্তি হস্তান্তরও করছে না ফরাসী সংস্থা। এরইসঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগও করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এ্যারোনটিকস লিমিটেডকে এড়িয়ে অনিল অম্বানির রিলায়্যান্স ডিফেন্সকে বরাত পাইয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এতে দুর্নীতি একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেআইনি ও অসঙ্গতভাবে নিজের শিল্পপতি বন্ধুকে সুবিধা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।
কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রতিটি নথি খুঁতিয়ে পরীক্ষার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ক্যাগের। ফরাসী সংস্থা দ্যাসো ও হ্যালের মধ্যে চুক্তিটি খতিয়ে দেখা দরকার। ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির পরোয়া না করেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুতরাং সমস্ত নথি সংসদের সামনে তুলে ধরুক ক্যাগ।
সরকারপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, বিরোধীদের অজ্ঞতার সন্তুষ্টির জন্য ক্যাগ বা সংসদীয় কমিটি তৈরি করা হয়নি। প্রতিদিনই মিথ্যা বলছে ওরা।
আরও পড়ুন- ৭ রোহিঙ্গাকে দেশের রাখার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের