‘কোহলি কোহলি’ চিত্কারে অনুষ্কাকে অভিবাদন
শেষ টেস্ট জিততে মরিয়া ভারত। কথায় আছে, শেষ ভাল যার সব ভাল তাঁর। সেই আশাতেই বিরাট-অনুষ্কা এবং গোটা ভারত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুঝুন কাণ্ড, হচ্ছে বলিউড ছবির প্রোমোশনাল ইভেন্ট, জনতা চিত্কার করছে ‘কোহলি কোহলি’ বলে! জয়পুরের ঘটনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোহলি আদতেই কিং কোহলি হয়ে উঠেছেন। ক্রিকেট মাঠে তো সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন-ই, এবার টিনসেল টাউনের হাত ধরে বিরাট কোহলি জনপ্রিয়তা কুড়োচ্ছেন বলি চৌহদ্দিতেও।
আরও পড়ুন- সিডনিতে 'মধ্যমা' বিতর্কে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি
রবিবার ‘সুই ধাগা’ ছবির প্রচারে জয়পুরের বিবেকানন্দ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি-তে এসেছিলেন বিরাট-পত্নী অনুষ্কা এবং তাঁর ‘নায়ক’ বরুণ ধাওয়ান। সবে মঞ্চে উঠে হাতে মাইকটা কেবলই ধরেছেন, পড়ুয়াদের কোরাসে গমগম করে উঠল গোটা চত্বর। কোহলি কোহলি চিত্কার, কী-ই বা আর করবেন অনুষ্কা! হাসলেন, তারপর বললেন, “জি হা, সবকো উনসে (বিরাট কোহলি) প্রেম হ্যায়। মুঝে ভি হ্যায়। সবকো উনকি ইয়াদ আ রাহা হ্যায়, মুঝে ভি আ রাহা হ্যায়”। এতে কি আর কাজ হয়? ক্যাম্পাস ভর্তি পড়ুয়াদের কোহলি প্রেম আটকায় এমন সাধ্য কার আছে? আর সঙ্গে যদি তালে তাল মেলান বরুণ ধাওয়ান, তাহলে তো আর কথাই নেই। এরপর যা হল, অনুষ্কা বলতে বাধ্য হলেন, “আমরা ছবির প্রচারে এসেছি। চলুন আপনাদের দেখাই আমাদের ছবির (সুই ধাগা) গান”।
“Jee haan haan.. Sabko unse (@imVkohli) prem hai, Mujhe bhi hai... Sabko unki yaad aa rahi hai, mujhe bhi aa rahi hai...” @AnushkaSharma #Virushka pic.twitter.com/9RQnOgzarn
— (@jugheadjasoos) September 2, 2018
প্রসঙ্গত, বিরাটের এবারের ব্রিটিশ সফরে সঙ্গে ছিলেন অনুষ্কাও। দর্শক স্থানে বসে দেখেছেন বিরাট শাসন। ইংল্যান্ডে বিরাটের শতরানের সাক্ষীও থেকেছেন তিনি। তারপর নিজের ছবির কাজে দেশে ফিরে এসেছেন। এখন চুটিয়ে প্রচার করছেন আসন্ন ছবি ‘সুই ধাগা’-র। নাওয়া-খাওয়ার সময়ও নেই। ছবির প্রচারে বরুণ ধাওয়ানকে নিয়ে হিল্লি-দিল্লি করে বেরাচ্ছেন। ওদিকে বিরাটও নিজের ছাপ রেখে আসছেন ব্রিটিশ দেশে।
আরও পড়ুন- বিদেশে টেস্ট জয় নিয়ে শাস্ত্রীর সাফাই
আগের সফর একেবারেই ভাল যায়নি তাঁর। তাই ভারত অধিনায়কের কাছে এবারের ইংল্যান্ড সফর ছিল একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর সেই পরীক্ষাও লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন তিনি। পতৌদি সিরিজে বিরাট কোহলিই হলেন সর্বোচ্চ রানের মালিক। ঝুলিতে আছে দুটো শতরানও। দল হেরেছে ঠিকই, তবে সচিনের মতো ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থেকে গেছেন বিরাট। সচিন শতরান করছে আর ভারত হারছে, অতীতের এই ছবি এবারের সিরিজেও চোখে পড়েছে। বিরাট সফল হচ্ছেন অথচ ভারত ব্যর্থই।
পতৌদি সিরিজে ৩-১- এ এগিয়ে ইংল্যান্ড। বিরাটদের হাতে রয়েছে একটা টেস্ট। সেই টেস্ট জিতলে কিছুটা হলেও ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে। তাই শেষ টেস্ট জিততে মরিয়া ভারত। কথায় আছে, শেষ ভাল যার সব ভাল তাঁর। সেই আশাতেই বিরাট-অনুষ্কা এবং গোটা ভারত।