দেশের জন্য পদক জিতে হরিশ ফিরলেন সেই চায়ের দোকানে
জীবন বদলাল না এত বড় সাফল্যের পরও।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন হরিশ কুমার। সেপাক টাকরা গেমে। সেপাক টাকরা গেম সম্পর্কে এদেশের মানুষের অনেকেরই ধারণা কম। এটা আসলে অনেকটা ফুটভলির মতো একটা খেলা। এই খেলায় দেশকে এশিয়ান গেমসে পদক এনে দিয়েছেন হরিশ কুমার। তার পর কী হল জানেন? সেই হরিশ কুমারকে ফিরতে হল চায়ের দোকানে। রোজনামচার জীবন বদলাল না এত বড় সাফল্যের পরও।
আরও পড়ুন- পদক না জিতেও ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন গোবিন্দন!
হরিশ কুমার বলছিলেন, ''অনেকদিন থেকেই আমি এই চায়ের দোকানে কাজ করি। ওটা আমার বাবার দোকান। দুপুর দুটো থেকে সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত আমি প্র্যাকটিস করতাম। তবে দিনের অনেকটা সময় আমাকে চায়ের দোকানে কাটাতে হত। বাবাকে সাহায্য করতে হত। ভেবেছিলাম, এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের পর দিন বদলাবা। কিন্তু কিছুই হল না। আমাদের পরিবারে অনেকজন সদস্য। সবার মুখে খাবার তুলে দিতে আমাকে কাজ করতেই হবে। একটা ভাল চাকরির আশা করেছিলাম। তা হলে জীবনের অনেকগুলো সমস্যা মিটত।''
আরও পড়ুন- নতুন সমস্যায় সোনাজয়ী অমিত! চললেন আমেরিকায়
বছর সাতেক আগে সেপাক টাকরা খেলতে শুরু করেন হরিশ। ব্রোঞ্জ জয়ী অ্যাথলিট বলছিলেন, ''আমার কোচ হেমরাজ আমাকে প্রথম মাঠে নিয়ে যান। উনিই আমাকে সাই-তে নিয়ে ট্রেনিং করিয়েছিলেন। তার পর সাই থেকে আমাকে কিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। না হলে খেলা চালিয়ে যেতে পারতাম না।'' ছেলের লড়াইয়ের কথা বলছিলেন হরিশের মা ইন্দিরা দেবি। বলছিলেন, ''ওকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি। একটা সময় আমাদের কাছে বাড়ি বাড়া দেওয়ার টাকাও থাকত না। হরিশের বাবা অটো চালাত। তার পর চায়ের দোকান। ওই একটা দোকানের ভরসার এতগুলে মানুষের পেট চলে। হরিশ ওই দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করে। জাকার্তা থেকে ফিরে ওকে আবার ওই দোকানেই ফিরতে হল। তবে সরকারের তরফে ওকে এর আগে অনেক সাহায্য করা হয়েছে। ওর কোচ হেমরাজ স্যরও পাশে ছিলেন। ''