টিভি স্টুডিওয় বসলেন 'নকল' হ্যাজার্ড!

 ম্যাচের ঠিক পরেই কাজান থেকে কী করে টিভির স্টুডিওতে চলে গেলেন হ্যাজার্ড? 

Updated By: Jul 13, 2018, 02:55 PM IST
টিভি স্টুডিওয় বসলেন 'নকল' হ্যাজার্ড!

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেলজিয়ামের এই দলটাকে সোনালী প্রজন্ম বলতে শুরু করেছিলেন ফুটবল বিশ্লেষকরা। প্রতিবারই কালো ঘোড়া তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নামে বেলজিয়াম। প্রতিবারই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায় তাদের থেকে। কিন্তু শেষমেশ বেলজিয়াম দলের লড়াই থেমে যায়। এবার কিন্তু অন্য ইতিহাস লিখতে পারতেন ইডেন হ্যাজার্ড, ফেলাইনিরা। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও তাদের লড়াই থেমে গেল মাঝরাস্তায়। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরা রেখে।

আরও পড়ুন-  নেমার কেন 'অভিনয়' করেন, জানালেন রোনাল্ডো

বেলজিয়ামের এই সোনালী প্রজন্মের দলের অন্যতম ফুটবলার ইডেন হ্যাজার্ড। মাঠে তাঁর খেলা দর্শকদের মন জিতেছে তো বটেই। মাঠের বাইরেও তাঁর এমন কাণ্ড ভক্তদের কাছে তাঁকে হিরো করে তুলেছে। এবারের বিশ্বকাপ প্রযুক্তির ব্যবহারের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল আগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারীরাও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়েছে পাল্লা দিয়ে। এই যেমন ৬ জুলাই কাজানে ব্রাজিলকে হারিয়ে উঠেই বেলজিয়ামের তারাক হ্যাজার্ডকে দেখা গিয়েছিল দেশের এক টিভি চ্যানেলের পর্দায়। লা উন নামের বেলজিয়ামের সেই টিভি চ্যানেল ম্যাচের ঠিক পরমুহুর্তেই হ্যাজার্ডকে লাইভ ইন্টারভিউতে ধরেছিল। কিন্তু সেটা কী করে সম্ভব হল? ম্যাচের ঠিক পরেই কাজান থেকে কী করে টিভির স্টুডিওতে চলে গেলেন হ্যাজার্ড? তা হলে কী সেদিন স্টুডিওতে নকল হ্যাজার্ডকে বসিয়ে দর্শকদের বোকা বানিয়েছিল লা উন। সাধারণ সমর্থকদের মনে এমন প্রশ্নই জেগেছিল প্রথমে।

আরও পড়ুন-  নেমারের জন্য জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এমবাপের

না, লা উন কোনও ভুল কাজ করেনি। পুরোটাই হয়েছিল প্রযুক্তির ব্যবহারে। সরাসরি সম্প্রচারিত সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে সেদিন সশরীরে হাজির ছিলেন আসল হ্যাজার্ড। আসলে সেই সাক্ষাতকারটা হ্যাজার্ড দিয়েছিলে কাজানের ড্রেসিংরুমে বসেই। কিন্তু দেখে যে কেউ ভাববে, আসলে সাক্ষাতকারটা দেওয়া সেই চ্যানেলের স্টুডিওতে বসে। আসলে সেদিন হলোগ্রাম সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন বেলজিয়ামের তারকা। সেমিফাইনালের টিকিট পাকা হওয়ার পর আনন্দে ভাসতে থাকে পুরো বেলজিয়াম দেশটা। তখনই লা উন ঠিক করে হ্যাজার্ডকে তারা সরাসরি সাক্ষাত্কারে বসাবে। হ্যাজার্ডও দেশের মানুষের উত্তেজনা, ভালবাসার কথা ভেবে না করেননি। ড্রেসিংরুম থেকে সরাসরি সাক্ষাত্কার দেন। কিন্তু হলোগ্রাম প্রযুক্তির জন্য দেখে মনে হচ্ছিল যেন স্টুডিওতে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তিনি। একদম সঞ্চালকের সামনে বসে। হলিউডে এই প্রযুক্তির বহুব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু ফুটবলের ক্ষেত্রে এমন সাক্ষাত্কার সত্যিই ব্যাতিক্রমী।  

.