১৪ বছর আগের লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক ফাইনাল ম্যাচের ভুলে যাওয়া কিছু জিনিস

দেখতে দেখতে ১৪টা বছর হয়ে গেল। ১৩ জুলাই,২০০২। লর্ডস। ভারতীয় ক্রিকেটের স্মরণতীয় দিনের একটা। সেদিন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারত শুধু ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিটায় জেতেনি, জিতেছিল অনেক কিছু। চোখের ওপর চোখ রেখে জবাব দিতে শিখিয়ে ছিলেন সৌরভ। তোরা ব্রিটিশ হলে, আমরা ভারতীয়। কথাটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। অবিশ্বাস্য ফাইনাল জেতার পর লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে গেঞ্জি খুলে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন দাদা। যে ছবিটা আজও শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয় গোটা ক্রিকেট বিশ্বের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়। আসুন আজ থেকে ১৪ বছর আগের সেই ফাইনাল ম্যাচটাকে আরও একবার মনে করিয়ে দিই--

Updated By: Jul 13, 2016, 12:03 PM IST
১৪ বছর আগের লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক ফাইনাল ম্যাচের ভুলে যাওয়া কিছু জিনিস

ওয়েব ডেস্ক: দেখতে দেখতে ১৪টা বছর হয়ে গেল। ১৩ জুলাই,২০০২। লর্ডস। ভারতীয় ক্রিকেটের স্মরণতীয় দিনের একটা। সেদিন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারত শুধু ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিটায় জেতেনি, জিতেছিল অনেক কিছু। চোখের ওপর চোখ রেখে জবাব দিতে শিখিয়ে ছিলেন সৌরভ। তোরা ব্রিটিশ হলে, আমরা ভারতীয়। কথাটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। অবিশ্বাস্য ফাইনাল জেতার পর লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে গেঞ্জি খুলে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন দাদা। যে ছবিটা আজও শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয় গোটা ক্রিকেট বিশ্বের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়। আসুন আজ থেকে ১৪ বছর আগের সেই ফাইনাল ম্যাচটাকে আরও একবার মনে করিয়ে দিই--

১) টসে জিতে ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করেছিল ৩২৫ রান। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইনিংস শেষে ক্যামেরার সামনেই বলেছিলেন, পিচ যেরকম ব্যবহার করছে তাতে এই রানটা জেতার পক্ষে যথেষ্ট।

২) মার্কস ট্রেসকোথিক আর নাসের হুসেন দুজনেই শতরান করেছিলেন। ট্রেসকোথিক করেছিলেন ১০৯ রান, আর নাসের ১১৫। ফ্লিনটফ ৪০ রান।

৩) জবাবে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার সেওয়াগ ও সৌরভ। কিন্তু ১৪.৩ ওভারে ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে হঠাত্‍ই আউট হয়ে যান সৌরভ (৬০)। এরপর সেওয়াগও (৪৫) আউট হওয়ার পর বিপদে পড়ে ভারত। বিনা উইকেটে ১০৬ রান থেকে ৪০ রানের মধ্যে ভারত হারায় ৫ উইকেট। দ্রাবিড়(৫), সচিন (১৪) ফেরার পর নিশ্চিত হারের অপেক্ষায় থাকে ভারত। অনেকেই টিভি সেট বন্ধ করে দেন।

৪) স্কোরবোর্ডে তখন ২৪ ওভারে ১৪৬ রান, ৫ উইকেট। এরপরেই শুরু প্রত্যাঘাত। যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফ ধীরে ধীরে ক্রিজে জমাট বাধতে শুরু করেন। কখনও সিঙ্গলস, কখনও দু রান, খারাপ বলে বাউন্ডারি নিয়ে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান। ইংল্যান্ডের যখন ঘুম ভাঙল তখন যুবি-কাইফ অবিশ্বাস্য কিছুর গন্ধ পেতে শুরু করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে যুবি-কাইফ যোগ করেন ১২১ রান। দল যখন জয় থেকে ৫৯ রান দূরে তখন যুবরাজ (৬৯) আউট হওয়ার পর ফের চাপে পড়ে যায় ভারত। তবে কাইফ অন্যপ্রান্তে একেবারে অটল ছিলেন।

 

৫)  শেষ দু ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। কাইফ ৪৯তম ওভারের পাঁচটা বল নিজে খেলেন। বোলার ছিল ডারেন গফ। কাইফ নেন একটি বাউন্ডারি সহ ৮ রান। সেখানেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

৬) শেষ ওভারে বল করতে আসেন ফ্লিনটফ। জিততে দরকার মাত্র দু রান। প্রথম দুটো বলে রান নিতে পারেননি জাহির। তৃতীয় বলটায় জাহির দক্ষতার সঙ্গে খেলে দু রান নিয়ে উইনিং স্ট্রোকটা নেন। কাইফ অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে।

৭) ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মহম্মদ কাইফ, সিরিজ সেরা মার্কস ট্রেসকোথিক।

৮) ত্রিদেশীয় এই সিরিজে ভারত, ইংল্যান্ড ছাড়াও খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। ৬টা ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কা মাত্র একটাতে জিতেছিল। ভারত চারটে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

   

.