ধোনিকে টিটকিরি, ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন কোহলি
ধোনি বরাবরের মতো চুপ।
নিজস্ব প্রতিনিধি : একদিনের ক্রিকেটে ৫০ ব্যাটিং গড় নিয়ে তিনি ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছেন। সমর্থকরাই তাঁকে ডাকে বেস্ট ফিনিশার বলে। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভরসাযোগ্য ব্যাটেভর করে ভারত যে কত কঠিন ম্যাচ জিতেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ক্রিকেট এক অদ্ভুত খেলা। বলা ভাল নিষ্ঠুর খেলা। অনেকটা জীবনের মতো। এখানে আজ যে রাজা কাল সে ফকির হবে না, সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। সমর্থকদের কাছে বেস্ট ফিনিশার হয়ে থাকা ধোনি এক ম্যাচে মাটিতে নেমে এলেন। তাঁকে রীতিমতো টিটকিরি শুনতে হল ভক্তদের কাছ থেকই। গত পরশু যারা তাঁকে সেরা বলে দাবি করতেন, কাল থেকে তাঁরাই তাঁকে বলছেন শ্লথগতির কচ্ছপ নামে। তবে ধোনি বরাবরের মতো চুপ। নিজের ঠাণ্ডা মেজাজ বজায় রেখেছেন ক্যাপ্টেন কুল। বরং তাঁর হয়ে ব্যাট ধরলেন টিমের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি।
ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর কোহলি এলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শুরুতেই তাঁকে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল, ধোনির এতটা শ্লথ ইনিংস খেলাটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? বিরাট কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়েই বললেন, ''সমর্থকদের মানসিকতা খুব দুর্ভাগ্যজনক। সমর্থকরা এত তাড়াতাড়ি একজনের মূল্যায়ণ করে ফেললে মুশকিল। ওরাই কিছুদিন আগে ধোনিকে সেরা ফিনিশার বলত। আজ একটা ম্যাচে ধোনি ম্যাচ শেষ করে আসতে পারল না বলে ওরাই আবার তুলোধনা করছে। ধোনি ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিল। কারণ আমরা ১৬০ বা ১৭০ রানে ইনিংস শেষ করতে চাইনি। তাই ধোনি ইনিংস টানার চেষ্টা করছিল। প্রতিদিন তো আমরা নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী খেলতে নাও পারতে পারি! রোজদিন ও ম্যাচ শেষ করে আসবে এমন হয় না। ধোনি অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। তাই ও শেষ পর্যন্ত থাকা মানে তো দলেরই লাভ। আমরা কিন্তু ওর উপর থেকে আস্থা হারাইনি। আসলে কিছু কিছু ম্যাচে গোটা দলের জন্য খারাপ সময় অপেক্ষা করে। এখানে ধোনির একার কিছু করার নেই।''
এদিকে, ম্যাচ শেষে এক টিভি শোয়ে আশিস নেহেরা বলছিলেন, ''পাণ্ডিয়াকে সঙ্গে পেলে ধোনির স্ট্র্যাটেজি হয়তো অন্যরকম হতো। এদিকে ১২০ রান বাকি। ওদিকে, শেষ আশা পাণ্ডিয়াও আউট। ধোনির তো একা কিছুই করার ছিল না। একটা ম্যাচের বিচারে ধোনির মূল্যায়ণ করা ঠিক হবে না।''