‘ফরাসি বিপ্লবে’ নাচলেন ম্যাক্রোঁ, টুইটে লিখলেন ‘মার্সি’!

 লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সেই নাচতে শুরু করলেন  এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল।

Updated By: Jul 16, 2018, 10:08 AM IST
‘ফরাসি বিপ্লবে’ নাচলেন ম্যাক্রোঁ, টুইটে লিখলেন ‘মার্সি’!

নিজস্ব প্রতিবেদন: এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেই হয়ত এমনটা সম্ভব! রাশিয়ার মস্কোতে তখন সবে মাত্র ফুটবলে পা ছুঁইয়েছেন গ্রিয়াজম্যান, পোগবা, এমবাপেরা। পুতিনের পাশে বসে সেই দৃশ্যই দেখছিলেন ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান। একেবারে শান্ত আর নির্লিপ্ত হয়েই। খেলা তখন ১৮ মিনিটে। ক্রোট তারকা মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গেল ফ্রান্স। ব্যস্। নিজেকে আর দমিয়ে রাখতে পারলেন না ‘ফরাসি সাহেব’। লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সেই নাচতে শুরু করলেন  এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল।

আরও পড়ুন- বেকেনবাওয়ার, জাগালোকে ছুঁয়ে বিশ্বজয় দেশঁ'র

এতো ছিল সবে শুরু। এরপর  ৪-২ গোলে ক্রোয়োশিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হতেই এক টুইটেই ঝড় তুলে দিলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইতিহাসের সাক্ষী থাকার পর এই স্মরণীয় জয়ের জন্য ফরাসি রাষ্ট্রপতি খরচ করলেন মাত্র একটা শব্দ। ‘মার্সি’ (MERCI)। ফরাসি এই শব্দের বাংলা অর্থ ধন্যবাদ। ২০ বছর পর দেশকে দ্বিতীয়বার বিশ্বের ‘রাজা’ করে দেওয়ার জন্য গোটা ফরাসি দলের কাছে এই ভাবেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তিনি।

গল্পের ছিল আরও বাকি। ফিফা মঞ্চে তখন সারিবদ্ধ আকারে দাঁড়িয়ে তিন রাষ্ট্রপ্রধান। পুতিন, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কোলিন্দে গ্রাবার। একে একে পদক নিতে এগিয়ে আসছেন ফুটবলাররা। ফ্রান্সের প্রত্যেক ফুটবলার সেনানির মতো স্যালুট জানাচ্ছেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে। ফরাসি রাষ্ট্রপতির মুখে তখন বিশ্বজয়ের হাসি। ম্যাক্রোঁ আরও নজর কাড়লেন বৃষ্টিস্নাত হয়ে।

ভিকট্রি স্ট্যান্ডে পুতিনের মাথার উপর যখন বড় কালো ছাতা, একফোটা বর্ষাও যখন ছুঁতে পারছে না রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে, শুটেড-বুটেড এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তখন ভিজছেন। জড়িয়ে ধরছেন দলের প্রত্যেকটি ফুটবলারকে। এখেনাই শেষ নয়। বিশ্বজয়ের পর এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে দেখা গেল জনপ্রিয় ‘ড্যাব’ করতেও।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, ‘এলিট’ এমানুয়েল হঠাত্ কেন এই রূপে অবতীর্ণ হলেন?   

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক সমীক্ষায় ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘একেবারেই মানুষের কাছের নন’। বিশ্বজয়ের মঞ্চে সেই ‘এলিট’ তকমা মুছে দিয়ে এমানুয়েল ‘আপামর সবার’ হয়ে পাল্টা জবাব দিলেন বলেই মত একাংশের।

আরও পড়ুন- মস্কোতে পেলেকে স্পর্শ করলেন এমবেপে

.