ভালবাসার সাক্ষী! স্ত্রীর জুতো বেঁধে ভক্তদের মন জিতলেন ধোনি

নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। সেটা বাইরের দুনিয়ার কাছে। নিজের স্ত্রী, মেয়ের কাছে তিনি তো স্রেফ স্বামী ও বাবা। এমনিতেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সুনাম রয়েছে। তিনি মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালবাসেন বলে। ধোনি-ভক্তরা বুক ঠুকে বলেন, তাঁদের প্রিয় ক্যাপ্টেনের কোনও আতিশয্য নেই। অতিরঞ্জিত কোনও ব্যাপারও নেই। তিনি সাধাসিধে মানুষ। বিশ্বজয়ের পরও এমএস ধোনির মাথা ঘুরে যায়নি। তিনি যেমন ছিলেন, তেমনই রয়েছেন এখনও। ভক্তদের এমন দাবি যেন আরও একবার জোরালো হয়ে উঠল। ধোনির একখানা ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্ত্রী সাক্ষী ধোনির জুতো বেঁধে দিচ্ছেন ধোনি। 

View this post on Instagram

You paid for the shoes so you tie them tooo !!! Photo Credit - @k.a.b.b.s

A post shared by Sakshi Singh Dhoni (@sakshisingh_r) on Dec 15, 2018 at 9:54am PST

নিন্দুকেরা বলতে পারেন, বিশ্বজয়ী অধিনায়ক হয়ে কি না স্ত্রীর জুতো বাঁধছেন! তাঁকে স্ত্রৈণ বলতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু ধোনি-ভক্তদের তাতে কিছু যায় আসে না। বরং তাঁদের কাছে ধোনির এমন কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। বিশ্ব ক্রিকেটের এত বড় একজন ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও ধোনি তাঁর পরিবারের কাছে এখনও সাদামাটা একজন। নিজের ইমেজ রক্ষার পরোয়া না করেই তিনি অনেক কাজ প্রকাশ্যেই করতে পারেন। তাঁর মতো নক্ষত্র প্রকাশ্যে স্ত্রীর জুতোর ফিতে বাঁধলে অনেক কথা উঠতে পারে! এমন আশঙ্কাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধোনি কিন্তু নিজের স্বভাবসিদ্ধ কাজটাই করলেন। আর তাতে কিছু সংখ্যক মানুষ প্রশ্ন তুললেন বটে! তবে সিংহভাগ ভক্ত ধোনির জয়গান করে গেলেন। সবার মুখে একটাই কথা, এমন কাজ শুধুমাত্র ধোনির পক্ষেই কার সম্ভব। সেই ধোনি, যিনি জীবনে কখনও কারও সমালোচনার তোয়াক্কা করেননি। যেটা ভাল বলে মনে হয়েছে সেটা গর্বের সঙ্গে করেছেন।

কোনও এক পার্টিতে ধোনির সঙ্গে হাজিরে হয়েছিলেন সাক্ষী। সেখানেই পার্টি মাঝপথে থাকাকালীন তাঁর জুতোর ফিতে খুলে যায়। পার্টি ড্রেস পরে নিচু হওয়া সাক্ষীর পক্ষে মুশকিল হত। তাই এগিয়ে এলেন ধোনি। নিচেু হয়ে বসে স্ত্রীর জুতোর ফিতে বেঁধে দিলেন। সাক্ষী নিজে সেই ছবি পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে। লিখলেন, জুতোর দাম চুকিয়েছো তুমি। এবার তুমিই আমার নতুন জুতোর ফিতে বেঁধে দাও। আপাতত ক্রিকেটের বাইরে ধোনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-২০ সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন। ফলে এখন হাতে অগাধ সময়। আর এই সময়টা তিনি পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন।