অবশেষে গড়াপেটার কথা স্বীকার করে নিলেন দানিশ কানেরিয়া
২০০৯ ডারহামের বিরুদ্ধে ইংলিশ কাউন্টির ম্যাচে এক বুকির থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন ওয়েস্টফিল্ড। পরিবর্তে ওই বুকির সঙ্গে একটি ওভারে বড় অঙ্কের রান দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল তাঁর। এই গোটা বিষয়টি মধ্যস্থতা করেছিলেন দানিশ কানেরিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাসনের ৬ বছর পর স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়িত থাকার কথা নিজে মুখেই স্বীকার করে নিলেন পাক লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়া। কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের হয়ে খেলার সময় সতীর্থ মার্ভিন ওয়েস্টফিল্ডকে স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়ানোর কথাও বৃহস্পতিবার স্বীকার করে নেন প্রাক্তন এই নির্বাসিত পাক স্পিনার। ২০১২ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আজীবন নির্বাসনের ছয় বছর পর গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কানেরিয়া।
২০০৯ ডারহামের বিরুদ্ধে ইংলিশ কাউন্টির ম্যাচে এক বুকির থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন ওয়েস্টফিল্ড। পরিবর্তে ওই বুকির সঙ্গে একটি ওভারে বড় অঙ্কের রান দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল তাঁর। এই গোটা বিষয়টি মধ্যস্থতা করেছিলেন দানিশ কানেরিয়া। পরে ওই ফিক্সিং কান্ডে দোষী প্রমাণিত হয়ে চার মাসের কারাদন্ড হয় ওয়েস্টফিল্ডের।
২০১২ সালে জুন মাসে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ফিক্সিং কান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কানেরিয়াকে আজীবন নির্বাসিত করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। অভিযোগ, ওয়েস্টফিল্ডকে অচেনা ওই বুকির থেকে টাকা নিতে বাধ্য করেছিলেন কানেরিয়া। তবে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক নির্বাসিত হলেও ঘটনায় জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে যান এই লেগস্পিনার। অবশেষে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এক শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেন কানেরিয়া। একটি বিবৃতিতে তিনি জানান, "আমি দানিশ কানেরিয়া। স্বীকার করে নিচ্ছি যে, ২০১২ আমার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের আনা অভিযোগ দুটি একেবারেই সত্য। সত্যিটা এতদিন স্বীকার করার শক্তি আমার ছিল না। কিন্তু মিথ্যে সঙ্গী করে সারাজীবন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।" পাশাপাশি এসেক্সে তাঁর সতীর্থ ওয়েস্টফিল্ড, এসেক্স ক্রিকেট ক্লাব, ক্লাবের ক্রিকেট অনুরাগী এবং সর্বোপরি তাঁর দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কানেরিয়া।