জাতীয় দলে ছেলে, কী বলছেন সচিন!
হিমাচল প্রদেশের আয়ুশ জামওয়াল কোচবিহার ট্রফিতে ৫০টা উইকেট পেয়েছিলেন। তার পরও অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : যে কোনও বাবার কাছেই এটা গর্বের মুহূর্ত। ছেলে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। আর ছেলের বাবার নাম যেখানে সচিন তেণ্ডুলকর সেখানে তাঁর তো দ্বিগুণ গর্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ছেলের এত বড় সাফল্যে গর্বিত বাবা বলছেন, ''ওর ক্রিকেটীয় জীবনে এটা বড় মাইলফলক। আমি ও আমার স্ত্রী অঞ্জলি সব সময় অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়েছি। কেরিয়ার হিসাবে ও যেটাই বেছে নিক না কেন তাতে যেন সাফল্য পায়। এটাই প্রার্থনা করি।''
আরও পড়ুন- পরপর দু'বার নজির গড়লেন বিরাট!
অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফির পাঁচ ম্যাচে ১৮টা উইকেট পেয়েছেন অর্জুন তেণ্ডুলকর। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৯৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সচিন-পুত্র। এমন চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের জন্যই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। তবে এরই মাঝে একবার বিতর্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল বটে। কারণ, হিমাচল প্রদেশের আয়ুশ জামওয়াল কোচবিহার ট্রফিতে ৫০টা উইকেট পেয়েছিলেন। তার পরও অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। ৪৮টা উইকেট পেয়ে তবে অর্জুন কী করে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে গেলেন? বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই বিসিসিআই ব্যাপারটা খোলসা করেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নির্দেশ ছিল, ১৯ বছরের বেশি বয়সী কোনও ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার পারফর্ম করলেও নয়। আয়ুশের বয়স ১৯ বছরের গণ্ডি পেরিয়েছে ক'দিন আগে। ১৯ বছরের থেকে বেশি বয়সী ক্রিকেটারর রনজি খেলতে পারে। বয়সের এই নির্দেশিকার জন্য অর্জুনের আগে অনেক ক্রিকেটারে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- সচিনের দেখা সব থেকে পরিশ্রমী, শৃঙ্খলাপরায়ন এবং আন্তরিক ক্রিকেটার ইনি
ভারতের প্রাক্তন পেসার ও মাস্টার ব্লাস্টারের বন্ধু সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং করেছেন অর্জুন। এর আগে পেসারদের জন্য ধরমশালায় বিসিসিআইয়ের ক্যাম্পে থেকেও ট্রেনিং নিয়েছেন অর্জুন। সামনের মাসেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলবে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তাতে সচিন-পুত্রের পারফরম্যান্স দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে গোটা ক্রিকেটমহল।