মোবাইলের স্ত্রিন ভরে উঠল 'রক্তে'! ভয়ঙ্কর গ্র্যানির খপ্পরে ৩ ছাত্র
মোমোর চেয়েও ভয়ঙ্কর মারণগেম গ্র্যানি!
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে মোমো আতঙ্কের মধ্যেই হাজির নয়া মারণগেম। নয়া এই মারণগেমের নাম গ্র্যানি গেম। এই গেমের খপ্পরে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৩ স্কুলছাত্র। অস্বাভাবিক আচরণ করছে ওই ছাত্ররা। কেউ বাড়ির লোককে মারধর করছে। আবার কেউ নিজেই মরে যেতে চাউছে। ঘটনাটি ঘটেছে সেই জলপাইগুড়িতেই। প্রসঙ্গত, রাজ্যে মোমোর প্রথম মেসেজ পান জলপাইগুড়িরই এক কলেজছাত্রী।
৩ স্কুল পড়ুয়াই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন দশম শ্রেণির ছাত্র, একজন একাদশ শ্রেণির। আর অপরজন দোকানে কাজ করে। জানা গেছে, দিনকয়েক আগে তাদের মধ্যে একজনের কাছে গ্র্যানি গেমের লিঙ্ক আসে। গেমটি ডাউনলোড করে খেলতে শুরু করে সে। একাই প্রথম ধাপ খেলে। এরপর সে গ্র্যানি গেমের লিঙ্কটি বাকি ২ বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর বুধবার রাতে তারা ৩ জনে একসঙ্গে গেমটি খেলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন, মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার : হাইকোর্ট
ওই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেমটি আদ্যোপান্ত ভৌতিক ধরনের। গেমে দেখানো হয়, ঘরের মধ্যে থাকা ভূত তাদের খুন করছে আর মোবাইলের স্ত্রিন ভরে উঠছে 'রক্তে'। ব্লু-হোয়েল, মোমোর মত এক্ষেত্রেও ৩ পড়ুয়াকে বিভিন্ন ধরনের 'টাস্ক' করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক ছাত্র জানিয়েছে, গেমটি একবার ডিলিট করে দিয়েছিল সে। সেদিন বন্ধুদের অনুরোধে আবার গেমটি ডাউনলোড করে খেলতে শুরু করে। চার ধাপের গেমটির ৩টি ধাপ খেলে ফেলেছিল তারা। আর তারপরই তারা ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন, সফল অস্ত্রোপচার, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মালদার গুলিবিদ্ধ শিশু
বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে ওই ৩ ছাত্র। কেউ বাড়ির লোকজনদের ধরেই মারধর করে। কেউ আবার নিজেই আত্মহত্যা করতে চায়। "আমি মরতে চাই, বাঁচতে চাই না" বলে চিত্কার চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। হঠাত্ করে এহেন ঘটনায় ঘাবড়ে যায় বাড়ির লোকেরাও। তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রদের পরিবার। ময়নাগুড়ি থানার আইসি নন্দকুমার দত্ত জানিয়েছেন, ওই ছাত্রদের পরিবার মোবাইলগুলি জমা দিয়ে গেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন, পুলিস 'হ্যান্ডস আপ' বলতেই শাবল নিয়ে তেড়ে গেল চোর, তারপর...
প্রসঙ্গত, এদিনই মোমোকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে। জানা গেছে, অজানা নম্বর থেকে কাটোয়ার এক যুবককে মোমো ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল সে।