'দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল', রাজ্যের আতিথেয়তা ফেরালেন বাবুল
রাজ্য প্রশাসনের তরফে দেওয়া গাড়িতে বেশিরভাগ সময়ই এয়ারব্যাগ থাকে না। অভিযোগ বাবুলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাতে নামলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোল সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। গাড়ি, পাইলট কার বা সরকারি অতিথি নিবাস, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তরফে দেওয়া কোনও আতিথেয়তা-ই যে তিনি আর গ্রহণ করবেন, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বাবুল। পাশাপাশি, তিনি রাজ্যে এলে তাঁর কর্মসূচি রাজ্য প্রশাসনকে না-জানাতে নিজের অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এলে, তাঁর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। একইসঙ্গে তাঁর আতিথেয়তার বন্দোবস্তও করে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, রাজ্যে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে শাসকদল। সেই কারণেই এরপর থেকে তৃণমূল সরকারের আর কোনও আতিথেয়তা তিনি গ্রহণ করবেন না। টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন আসানসোল সাংসদ। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আসানসোল ৪ ঘণ্টার রাস্তা। এই ২৪০ কিলোমিটার পথ তাঁকে দুর্ঘটনাপ্রবণ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়, তাতে বেশিরভাগ সময়ই এয়ারব্যাগ থাকে না।
That includes the State Vehicle, all State Guest House, Pilot Cars etc. I have instructed my office to stop sending my ‘Tour Programmes’ to the State Government as is the General Practise when a Minister from the Central Government visits any State.
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) June 29, 2018
In any case, after realising that the State Government shall continue to send me a vehicle that doesn’t have airbags inspite of the fact that, my drive to my constituency Asansol involves a 4 hour/240 KM drive from the Kolkata airport.
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) June 29, 2018
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার মুখে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় জেলাশাসকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেলাশাসক তাঁকে সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ বাবুলের।
সেই প্রসঙ্গে এদিন দুর্গাপুরে এক কর্মীসভা থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "এ রাজ্যে অন্য দলের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের কোনও সম্মান নেই। তৃণমূল যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে হারাতে পারছে না সেখানে পুলিশ এবং প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা করছে। তবে জেলাশাসক, আইএএসদের টিকি দিল্লিতে বাঁধা আছে, এটা যেন তাঁরা ভুলে না যান। ডিএম যদি নিজের সীমা অতিক্রম করে বাবুল সুপ্রিয়কে বলতে পারেন, তাহলে বাবুল সুপ্রিয়র তাঁর ক্ষমতা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এবার উনি সেই অধিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন।"
আরও পড়ুন, অমিত ফিরতেই তৃণমূলে পুরুলিয়ার ২ পরিবার
অন্যদিকে, বাবুলের টুইটের প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এতদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পিছনে রাজ্য প্রশাসনের যত টাকা খরচ হয়েছে, সেই সব টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পুরমন্ত্রী।