ছেলে 'মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার', তবু স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি মায়ের

ছেলে বড় সরকারি চাকুরে, পেশায় অডিট অফিসার। কিন্তু মাকে দেখার সময় নেই তাঁর। দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটে না মায়ের। সহায় সম্বলহীন অসহায় মা তাই স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন মহকুমা শাসকের কাছে। দুর্গাপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Updated By: Jan 18, 2018, 03:31 PM IST
ছেলে 'মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার', তবু স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছেলে বড় সরকারি চাকুরে, পেশায় অডিট অফিসার। কিন্তু মাকে দেখার সময় নেই তাঁর। দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটে না মায়ের। সহায় সম্বলহীন অসহায় মা তাই স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন মহকুমা শাসকের কাছে। দুর্গাপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

তিন-চার বয়সেই মাতৃহারা হয়েছিলেন নির্মাল্য প্রামাণিক। তারপর থেকে এই পূর্ণিমা প্রামাণিকই সন্তান স্নেহে তাঁকে বুকে আগলে মানুষ করেছেন। ছোট থেকেই মেধাবী নির্মাল্য বড় হয়ে অডিট দফতরের বিরাট বড় অফিসার হন। কিন্তু সত্ মাকে দেখার সময় নেই তাঁর কাছে।

ষাট ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা পূর্ণিমা প্রামাণিক। অভিযোগ, স্বামীর অসুস্থতার সময় থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয় ছেলে নির্মাল্য। ২০১৪ পর্যন্ত সামান্য টাকাপয়সা দিলেও, ২০১৬ থেকে টাকা দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেন ছেলে নির্মাল্য প্রামাণিক। সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধা অথৈ জলে পড়েন।

আরও পড়ুন, বাড়িতে ঢুকলেই ফোন খারাপ! অজানা কারণ ঘিরে রহস্য

শেষপর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখেই, অসহায় পূর্ণিমা দেবী দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান। তাঁর কাছে সবকথা শোনার পর প্রশাসনিকভাবে সবরকম পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা।

.