Chandannagar: ঠাণ্ডা ফ্রুটিতে গলা ভেজাতেই বেহুঁশ, খোয়া গেল টাকা-মোবাইল ফোন!

ঠাণ্ডা পানীয় খেয়ে বেহুঁশ। হুঁশ ফিরতেই খেয়াল হল খোয়া গিয়েছে সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা। তাও আবার হাসপাতাল এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর হাসপাতাল চত্বরে। পানীয়ের সঙ্গে মাদক পান করিয়ে কেপমারি চন্দননগর হাসপাতালে!

Updated By: Mar 19, 2024, 10:45 AM IST
Chandannagar: ঠাণ্ডা ফ্রুটিতে গলা ভেজাতেই বেহুঁশ, খোয়া গেল টাকা-মোবাইল ফোন!
নিজস্ব ছবি

বিধান সরকার: নিকট আত্মীয়দের সুস্থতা কামনা করে হাসপাতালে দিন-রাত এক করে দিয়েছেন তারা। একবার অ্যানেক্স বিল্ডিং তো একবার হাসপাতাল করিডর, এই তাদের দৈনন্দিন জীবন। হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করা কম-বেশি প্রত্যেকেরই মনের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না। একে অপরের কথা শুনে থাকেন অনেকই। আত্মীয়-অনাত্মীয় সকলেই তখন পরিচত হয়ে ওঠে। কিন্তু কে জানে হাসাপাতাল চত্বরেই ঘটে যাবে এমন অঘটন। 

আরও পড়ুন, Bengal Weather: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, সন্ধের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! আতঙ্কের বসন্তবেলা...

ঠাণ্ডা পানীয় খেয়ে বেহুঁশ। হুঁশ ফিরতেই খেয়াল হল খোয়া গিয়েছে সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা। তাও আবার হাসপাতাল এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর হাসপাতাল চত্বরে। পানীয়ের সঙ্গে মাদক পান করিয়ে কেপমারি চন্দননগর হাসপাতালে! এর মধ্যেই পরে গিয়ে মাথা ফাটল একজনের। হরিপালের সেখ মহঃ ওলিউল্লা, শ্রীমন্ত সিং, ডানকুনির আউজুল মল্লিক। তিনজনেরই নিকট আত্মীয় ভর্তি চন্দননগর হাসপাতালে।

অ্যানেক্স বিল্ডিং-এর সামনে আরও অনেকের সঙ্গে তারা রাত জাগছিলেন। এক মধ্য বয়সী ব্যক্তি এসে তাদের সঙ্গে ভাব জমায়। এরপর ফ্রুটি খেতে দেয়। তিনজনেই অল্প করে পানীয়তে চুমুক দেন। কয়েক মুহুর্তে প্রায় অচেতন হয়ে পরেন তিনজনই। সকালে ঘুম ভাঙলে দেখেন মোবাইল টাকা গায়েব। মহঃ ওলিউল্লা উঠে শৌচালয়ে গিয়ে মাথা ঘুরে পরে যান, মাথা ফেটে যায়। তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় হাসপাতালেই। মাদকের প্রভাব এতটাই উঠে দাঁড়াতে পারছেন না তিনজনই।

মহঃ ওলিউল্লা বলেন, আমি রোজা করি। গত রাতে একজন বলল, 'একটু জুস খান। খাওয়ার পর আর হুঁশ ছিল না। সকালে উঠে মুখ ধুতে গিয়ে পরে যাই। মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালে অনেক ধরনের মানুষ আসেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা দরকার। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ এর আগেও এ ধরনের কেপমারির ঘটনা ঘটেছে।' হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ,হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা থাকলেও অ্যানেক্স বিল্ডিং নতুন হওয়ায় সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। হাসপাতালে প্রবেশ দ্বারেও নেই সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তারক্ষী। রোগীর পরিজন যারা রাতে থাকেন তাদের বার বার বলা হয় অপরিচিত কারও থেকে কিছু না খেতে। তারপরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন, CAA: সিএএ বিজেপির জন্য বুমেরাং হতে পারে, প্রচারে নেমে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.