জল তুলতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে গেল ১০ মাসের ছেলে, ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে পারল না মা!

জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মানস রায় কাজে চলে গিয়েছিলেন। ঘরে শিশুপুত্র গৌরবকে নিয়ে একাই ছিলেন শম্পা।

Updated By: Nov 12, 2018, 02:43 PM IST
জল তুলতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে গেল ১০ মাসের ছেলে, ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে পারল না মা!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  স্বামী কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল গৃহবধূর। কিন্তু  ঘরে দশ মাসের শিশুকে তো আর একা রেখে যাওয়া যায় না। তাই তাকে নিয়েই বাথরুমে গিয়েছিলেন। কাজের পর শৌচাগারের সামনে কুয়ো থেকে জল তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই মর্মান্তিক ঘটনা। হাত ফস্কে কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় তার দশ মাসের পুত্রসন্তান।  তিনিও সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর মধ্যে ঝাঁপ দেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।  জলপাইগুড়ির এই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক।

আরও পড়ুন: বাড়িতে খুশির আবহ, প্রেমিককে বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তেই পাত্রীকে যে অবস্থায় দেখা গেল!

 জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মানস রায় কাজে চলে গিয়েছিলেন। ঘরে শিশুপুত্র গৌরবকে নিয়ে একাই ছিলেন শম্পা। ভোরে  বাথরুমে যাওয়ার সময় ছেলেকে কোলে নিয়ে যান তিনি। দুকামরা ঘরের পাশেই তাঁদের শৌচাগার। আর তার থেকে কয়েক হাত দূরে কুয়ো। বাথরুমের কাজ শেষ করে কুয়ো থেকে জল তোলার চেষ্টা করছিলেন শম্পা। বালতি কুয়ো ফেলে ঝুঁকি দিতেই হাত ফস্কে শিশুটি ভিতরে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই কুয়োর মধ্যে ঝাঁপ দেন শম্পা। কিন্তু ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি। নিজেও কুয়ো থেকে উঠতে পারেননি। পরে শম্পার আর্তনাদে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন:  ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন আইনজীবী, স্ত্রীকে ডাকতে এসে বেডরুমে যে অবস্থায় দেখলেন...

শম্পার কোলের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যমে মানুষে টানাটানি চলছে শম্পাকে নিয়ে। প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন শম্পা।

সন্তানকে হারিয়েছেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্ত্রী- কথা বলার শক্তিটুকুও হারিয়েছেন মানস।  কাঁপা গলায় বলছেন, “কেন যে আমি বাড়ি থাকতে থাকতে বাথরুমে গেল না ও!”

 

.