পুলিসের নাকের ডগায় দুঃসাহসিক ডাকাতি বর্ধমানে
একের পর এক চুরির অভিযোগ তো ছিলই, এবার ডাকাতির ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। আর প্রতিবারের মত এবারও অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নিষ্ক্রিয় প্রশাসন। আর তাতেই বাড়বাড়ন্ত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক চুরির অভিযোগ তো ছিলই, এবার ডাকাতির ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। আর প্রতিবারের মত এবারও অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নিষ্ক্রিয় প্রশাসন। আর তাতেই বাড়বাড়ন্ত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
বর্ধমানের নবাবহাটে একটি মার্বেল ও টাইলসের দোকানে শনিবার রাতে হানা দেয় ৫-৬ জনের একটি দুষ্কৃতীদল। সেইসময় দোকানের মালিক বাইরে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। আর দোকানের ভিতরে ছিলেন কর্মী সোনু কুমার বর্মণ। জানা গেছে, দুষ্কৃতীরা দোকানের ভিতরে ঢুকে প্রথমে সোনুর কাছ থেকে ক্যাশবাক্সের চাবি চায়। সোনু চাবি দিতে অস্বীকার করলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে সোনুর ডানহাতের কনুইয়ের নীচে।
এরপরই ডাকাত দলটি ক্যাশবাক্স থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে চম্পট। দোকান মালিক বিজয় প্রসাদ খাবার নিয়ে ফিরে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনুকে। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সোনু।
আরও পড়ুন, শালবন থেকে মহিলার বিবস্ত্র সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার
স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকান থেকে মাত্র ১০০ ফুট দূরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পুলিশের ভ্যান টহল দেয়। সেখানে এতবড় ডাকাতির ঘটনা আরও একবার পুলিসি নিষ্ক্রিয়তাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই বর্ধমানে দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় সমাজবিরোধীদের মদ-গাঁজার আসর বসে। বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।