তৃণমূল কর্মী খুনে ১৮ জন সিপিএম কর্মীর যাবজ্জীবন

নিহতদের পরিবারের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করে পুলিস। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মামলার চার্জ গঠন হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় ১৮ জন সিপিএম কর্মীকে। গতকাল ১৮ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। 

Updated By: Apr 18, 2018, 08:17 PM IST
তৃণমূল কর্মী খুনে ১৮ জন সিপিএম কর্মীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ১৮ জন সিপিএম সমর্থককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর খুন হন তৃণমূল কর্মী পাঁচুগোপাল দাস ও ঈশা মল্লিক। জখম হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। উত্তাল হয়ে উঠে পূর্ববর্ধমানের জামালপুর।

মৃত পাঁচুগোপাল দাসের বাড়ি জামালপুরের উজিরপুরে এবং ঈশা মল্লিকের বাড়ি অমরপুরে। এদিন সেই খুনের ঘটনায় ১৮ জন সিপিএম সমর্থককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা  দায়রা আদালতের বিচারক সেখ মহম্মদ রেজা। 

আর পারছি না, বিচারকের সামনে কেঁদে ফেললেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী

২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জামালপুরের মুইদিপুর পচা মার্কেট এলাকায় তৃণমূল সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় সশস্ত্র সিপিএম কর্মীরা। সাহেব সাঁতরা, শ্যামাপদ দে, শ্যামল দাস, শৈলেন কর্মকার, অনিল মালিক ও দীনবন্ধু সাঁতরা নামে পাঁচ তৃণমূলকর্মী ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এর পর তৃণমূল সমর্থকদের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। একাধিক গ্রামে রাতভর চলে তাণ্ডব। এরই মধ্যে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় পাঁচুগোপালবাবু ও ঈশা মল্লিককে। 

নিহতদের পরিবারের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করে পুলিস। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মামলার চার্জ গঠন হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় ১৮ জন সিপিএম কর্মীকে। গতকাল ১৮ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। 

রায়ের পর স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথায়, এর পর সিপিএমের মুখে আর সন্ত্রাসের অভিযোগ মানায় না। 

 

.