থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীরে এইচআইভি! কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল
বাড়ি, জমিজমা, সোনা সব বন্ধক রেখে মেয়ের চিকিত্সা চালাচ্ছিল দরিদ্র পরিবারটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মারণরোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত একরত্তি মেয়েটা। বছর ছয়েকের মেয়েকে বাঁচাতে তাই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বাবা, মা। কিন্তু, সেই থ্যালাসেমিয়ার রক্ত দিতে গিয়েই বাঁধল আরেক বিপত্তি। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের চূড়ান্ত গাফিলতিতে মেয়ের শরীরে বাসা বেঁধেছে এইডসের জীবাণু। আর একথা জানাজানি হতেই ওই পরিবারকে একঘরে করে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটির।
আরও পড়ুন, বাড়ি ছাড়তে হবে! ভাড়াটের শ্লীলতাহানির অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে
নলহাটির উজিরপুরের বাসিন্দা ওই শিশুটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি জানিয়েছেন, জন্মের কয়েক মাস পরেই মেয়ের থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েকে নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। শুরু হয় মেয়েকে রক্ত দেওয়া। তারপর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে রামপুরহাট ব্লাডব্যাঙ্ক থেকেই রক্ত দেওয়া হত শিশুটিকে। দিন আনি, দিন খাই পরিবার। বাড়ি, জমিজমা, সোনা সব বন্ধক রেখেই মেয়ের চিকিত্সা চালিয়ে যাচ্ছিল দরিদ্র পরিবারটি। কিন্তু গতবছর শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের।
আরও পড়ুন, ক্যানসেল বোতামে আঠা! এটিএম লুঠের অভিনব চেষ্টায় তাজ্জব পুলিস
বর্ধমান মেডিক্যালে রক্ত পরীক্ষার পর জানানো হয়, শিশুটির রক্তে এইচআইভির সংক্রমণ রয়েছে। এই ঘটনায় রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার, মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, তারপরেও হাসপাতালের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে এইডস সংক্রমণের কথা জানাজানি হওয়ার পরই গ্রামে একঘরে করে দেওয়া হয় শিশুটির পরিবারকে।
আরও পড়ুন, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে বিনা টিকিটের যাত্রীদের তাণ্ডব, আহত কয়েকজন
এই ঘটনায় রামপুরহাট জেলা হাসাপাতাল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জানান, কোনও অভিযোগই তিনি পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওপর মহলকে জানানো হবে।