মেয়েকে খাওয়ানোর টাকা আনতে হবে বাপের বাড়ি থেকে! মর্মান্তিক পরিণতি স্ত্রীর

বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন জসিলা। কিন্তু দাবি মোতাবেক টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনতে না পারার জন্য নতুন করে শুরু হয় অত্যাচার।

Updated By: Sep 8, 2018, 07:17 PM IST
মেয়েকে খাওয়ানোর টাকা আনতে হবে বাপের বাড়ি থেকে! মর্মান্তিক পরিণতি স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়ে হয়েছে ৬ মাস। কিন্তু সেই মেয়ের জন্য কানাকড়িও খরচ করতে রাজি নয় বাবা। মেয়ের ভরণপোষণের জন্য বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে টাকা নিয়ে আসতে বলে স্বামী। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়েও আসে স্ত্রী। কিন্তু দাবি মতো টাকা না আনায় বিষ খাইয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

মৃতার নাম জসিলা খাতুন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে রায়গঞ্জের চেড়ামাটি গ্রামের বাসিন্দা আয়ুব আলির সঙ্গে বিয়ে হয় ইটাহারের দুর্লভপুরের বাসিন্দা জসিলা খাতুনের। বিয়ের বছর খানেকের মাথায় দম্পতির এক কন্যাসন্তান হয়। মেয়ের বয়স এখন ৬ মাস।

আরও পড়ুন, স্বামীকে নগ্ন করে থানায় টেনে নিয়ে গেল স্ত্রী!

অভিযোগ, মেয়ে হওয়ার পর থেকেই জসিলার উপর অত্যাচার শুরু করে আয়ুব আলি। মেয়ের জন্য বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলে জসিলাকে। বাপের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য স্ত্রী জসিলাকে চাপ দিতে থাকে আয়ুব। মেয়ে সমেত জসিলাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সে।

নিজের মেয়েকে এভাবে লাঞ্ছিত হতে দেখে স্থির থাকতে পারেননি জসিলার বাবা। অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেন তিনি। মেয়ের হাতে সেই টাকা তুলে দেন জসমত খাতুন। বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন জসিলা। কিন্তু দাবি মোতাবেক টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনতে না পারার জন্য নতুন করে শুরু হয় অত্যাচার।

আরও পড়ুন, ছিপে হ্যাঁচকা টান, বড়শি টানতেই উঠল ৬ কিলোর রাঘব বোয়াল

অভিযোগ, এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে জসিলাকে মারধর করে তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি। মারধরের পর তারা বিষও খাইয়ে দেয় জসিলাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জসিলাকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। শুক্রবার সেখানেই জসিলার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন, মেয়ের মুখের খাবার কেড়ে ফেলে দিত বাবা! প্রতিবাদ করায় মাকে খুন

এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় জসিলার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে অভিযুক্তরা পলাতক।

.