দুনীর্তির শিকার হলে ফোন করুন ৭০৪৪০৭০৪৪০ : দিলীপ ঘোষ

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজিপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। 

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Aug 19, 2020, 09:28 PM IST
দুনীর্তির শিকার হলে ফোন করুন ৭০৪৪০৭০৪৪০ : দিলীপ ঘোষ
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: জনসংযোগে আরও একটা সংযোজন। হেল্পলাইন নম্বর। রাজ্যের মানুষ দুর্নীতির শিকার হলেই সেই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কিন্তু কী পদক্ষেপ করা হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বুধবার এমনই একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করে শাসকদলকে শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ৭০৪৪০৭০৪৪০ । এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজিপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সেই অভিযানের ভিত শক্ত করতে চালু করা হচ্ছে হেল্পলাইন নম্বর। যাতে মানুষ কোথাও দুর্নীতির শিকার হলে আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে(৭০৪৪০৭০৪৪০) ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী।“ 

আরও পড়ুন: সঞ্জয় খুন মামলায় ৫ অপরাধীর যাব্বজীবন সাজা শোনালো বারাসত আদালত

রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে এই অভিযোগ গ্রহন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিজেপির আইটি সেলের কর্মীরা এই বিষয়টি দেখভাল করবেন। প্রতিদিনের রিপোর্ট তাঁরা দেবেন রাজ্য সভাপতিকে। এছাড়াও “দিদিকে বলো”  অনুকরণে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে “ দিলীপদাকে বলো”। তবে ফোনে নয়। দিলীপদাকে বলতে হবে মেলে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির নামে একটি ইমেল আইডি খোলা হচ্ছে। রাজ্যবাসী দুর্নীতি থেক শুরু করে যেকোন অভিযোগ ওই মেলে জানতে পারবেন। ফোনের মত মেলেও অভিযোগ জানানোর সময় সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রতিদিন অভিযোগ পাওয়ার মাধ্যমে রাজ্য সভাপতি বুঝে নিতে চাইছেন মানুষ তাকে কতটা ভরসা করেন। পাশাপাশি করোনা আবহে এটা একটা জনসংযোগের অন্যতম উপায়।

 

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন,” শান্তিনিকেতন নিয়ে যেটা চলছে সেটা দুঃখের বিষয়। যাXরা আমাদের বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল বলে অভিযোগ করেছিল তারাই আজ রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনকে উড়িয়ে দিচ্ছে। এরা নাকি খুবই বাঙালী প্রেমী। আজ শান্তিনিকেতনের অস্তিত্বের সংকট। ভূমি মাফিয়ারা  ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জমি কব্জা করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে তারাই দ্বিতীয় তালিবানি শক্তি রাজ করাচ্ছে। সবকিছু ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে।“

পাশাপাশি অর্জুন সিং-এর বাড়ি তল্লাশি নিয়ে  দিলীপ ঘোষ জানান, “ ,এটা বারাকপুর পুলিসের দৈনন্দিন কা্র্মসূচির মধ্যে এসে গিয়েছে। সুযোগ পেলেই সুযোগ তৈরি করে অর্জুন সিং এর বাড়িতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অশান্তি করা, ভয় দেখানো, বন্ধুক দেখানো রোজকার রুটিন। কোনও বৈধ পেপার ছাড়া বাড়িতে ঢুকে সমস্ত জিনিসপত্র তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে। উনি থাকলে আটকাচ্ছেন। না হলে বাড়ির লোককে অপমান করা হচ্ছে। একজন বিরোধী সাংসদের শান্তিতে থাকার অধিকার নেই।  সমস্ত পুলিস অফিসারদের তাঁর পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে গুন্ডা ভিতরে পুলিস। তাঁর প্রাণ অতিষ্ঠ করে দেওয়া হচ্ছে।“

.