শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে জোট করে সরফুদ্দিনকে খুনের ছক বাবুয়ার!

সরফুদ্দিনের বাড়বাড়ন্ত, বিধায়কের আস্থাভাজন হয়ে ওঠায় বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বাবুয়ার। দল বদলে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জগু সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে বাবুয়া।

Updated By: Dec 16, 2018, 10:17 AM IST
শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে জোট করে সরফুদ্দিনকে খুনের ছক বাবুয়ার!

নিজস্ব প্রতিবেদন : জয়নগর শুটআউটের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল মাসখানেক আগেই। ধৃতদের জেরা করে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ধৃত সাজমল জেরায় জানিয়েছে, বাবুয়া আর সে সরফুদ্দিনের শত্রুর শত্রুদের জড়ো করার চেষ্টা করছিল। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েকটি দল সেদিন একত্রিত হয় সরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সরফুদ্দিনের ক্ষমতা বাড়ছিল। আর তার ফলে প্রভাব কমছিল বাবুয়ার। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন,  প্রাথমিক তদন্তের পর সেটা নিশ্চিত পুলিস। তবে শত্রুর শত্রু কারা, সেটাই এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিআইডি। এই ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড বাবুয়া নাকি তাকেও কোনও বড় মাথা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে জয়নগরের রামকৃষ্ণপুর থেকে আরমান গাজি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুটআউটের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, জয়নগর খুন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বাবুয়ার বেড়ে ওঠা একদিনে নয়। ধীরে ধীরে নিজের সাম্রাজ্য বাড়িয়েছে বাবুয়া। জয়নগর,বহড়ু, মথুরাপুর পর্যন্ত নেটওয়ার্ক ছিল বাবুয়ার। তোলাবাজি, প্রোমোটিং, বেদখলি জমি বিক্রি , ভোটের সময় নেতাদের অ্যাকশন স্কোয়াডের পান্ডা, সব দিকেই বাবুয়ার ছিল অবাধ যাতায়াত। এখন রয়েছে মাছ রফতানির ব্যবসা, মোটর সাইকেলের শোরুম।

আরও পড়ুন, এটিএম জালিয়াতি, নাগপুররে ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লক্ষাধিক টাকা

একসময় এলাকার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিল বাবুয়া। কিন্তু সরফুদ্দিনের বাড়বাড়ন্ত, বিধায়কের আস্থাভাজন হয়ে ওঠায় বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বাবুয়ার। এরপরই বাবুয়া দল বদলে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জগু সরকারের। তারপর থেকেই বিশ্বনাথ ঘনিষ্ঠ সরফুদ্দিনের সঙ্গে বেশকয়েকবার ঝামেলা হয় বাবুয়ার। এলাকায় ক্ষমতা দখল নিয়ে সরফুদ্দিনের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা লাগত বাবুয়ার। সরফুদ্দিনের উপর বোমাবাজি,হামলাতে আগেই নাম জড়িয়েছিল বাবুয়ার।

পুলিসের অনুমান, সেই থেকেই সরফুদ্দিনকে খুনের ছক কষে বাবুয়া। সরফুদ্দিনকে সরিয়ে দিতে পারলে এলাকা দখল সুবিধাজনক হবে এই ভাবনা থেকেই খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে বাবুয়া। শুটআউটের ঘটনার পর থেকে বাবুয়া পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিস। তবে বাবুয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছেন জয়নগরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌর সরকার। যদিও, একাধিক অপরাধের জন্য এর আগে বেশ কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে বাবুয়াকে।

.