মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকের শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি হোক আঁটোসাঁটো, রইল 'লাস্ট মিনিট সাজেশন'

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।

Updated By: Feb 5, 2019, 01:07 PM IST
মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকের শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি হোক আঁটোসাঁটো, রইল 'লাস্ট মিনিট সাজেশন'
প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। কেউ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে চলেছে কেউ আবার স্কুলের গন্ডি। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই পরীক্ষা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিস 

পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে, সবমিলিয়ে ছাত্র মহলে পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর সেই প্রস্তুতি আরও খানিকটা ভালো করতে রইল কিছু পরামর্শ। লাস্ট মিনিট পিপারেশনে খেয়াল থাকুক এই দিকগুলোও।

প্রতিযোগিতা হোক নিজের সঙ্গেই
প্রতিদিনের একটা টার্গেট সেট করে নাও এবং সেই মতো দেখ আগের দিনের তুলনায় ঠিক কতটা উন্নতি হল তোমার। এভাবেই শেষের কয়েকটা দিন জোর কদমে চলুক পরীক্ষার প্রস্তুতি।

নিয়ম মেনেই পরিকল্পনা হোক দিনগুলোয় 
নিয়ম মেনে চলতে হবে এই সময়টা। শেষ মুহূর্তে কী পড়বে এবং কতটা পড়বে প্রথমেই পরিকল্পনা করে নাও। নতুন করে কোনও অধ্যায় পড়া শুরু করার দরকার নেই, এতে সমস্যা বাড়বে। এতদিন যা পড়েছ, সেগুলোই রিভিসন দিয়ে নিলেই সমস্যার সমাধান হবে। বাজার চলতি অসংখ্য প্রবেশিকা বই রয়েছে, বিজ্ঞাপন এবং প্রতিবেশীর কথা অযথা তাতে ভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই। 

স্যোশাল মিডিয়া নৈব নৈব চ
পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেসবুক হোয়াটঅ্যাপ এবং অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকাই ভাল। স্বাদ বদলাতে গান শুনতে পারো। মেডিটেশন এই সময় মনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত এই সময় যারা স্যোশাল মিডিয়া এড়িয়ে চলেছে, তাদের নম্বর তুলনামূলক ভালো হয়েছে।

সহায়িকার চাপ নয়
অসংখ্য সহায়িকা বই পড়ার দরকার নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরামর্শ মানতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ছাত্রছাত্রীরা। তাই শেষ মুহূর্তে এই ধরনের কাজ নৈব নৈব চ। বরং মক টেস্ট প্র্যাকটিস করা যেতে পারে। বিগত বছরের প্রশ্ন পত্র থেকে একটা ধারনা নিয়ে নাও। সেগুলোই অভ্যাস করো।

আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে জেগে পড়ার কোনও দরকার নেই। এতে ফাটাফাটি কোনও ফলাফল মিলবে এমন আশা করাটা নেহাত বোকামি। কারণ সারাবছরের অধ্যাবসায় ছাপ ফেলবে পরীক্ষার খাতায়। বরং আগের রাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়াই ভাল। এতে শরীরও ভাল থাকবে এবং পরীক্ষার তিন ঘণ্টা কোনও সমস্যা হবে না। 

খাতায় পরিচ্ছন্নতার ছাপ থাকুক
শুরুতেই বেছে নাও কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি লিখবে। সেই মতো শুরু করো লেখা। প্রশ্নের নম্বরগুলো যেন সঠিক হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখো। পাশাপাশি অন্তত প্রথম চারটি পাতার লেখায় যেন খুব বেশি কাটাকুটি না হয়, খাতাটা যতটা সম্ভব পরিষ্কার থাকে যেন। এতে যিনি খাতা দেখবেন তার বিরক্তি তৈরি হবে না। যার ভালো প্রভাব পড়বে পরীক্ষার খাতায়। 

আরও পড়ুন: ১২ বগির দাবি, কদম্বগাছিতে রেল অবরোধ মহিলা যাত্রীদের

শেষের মিনিট গুরুত্বপূর্ণ
শেষের কয়েকটা মিনিট কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তাড়াতাড়ি পরীক্ষার হল ছেড়ে বেরনোর কারণ নেই। যা লিখেছো একবার চোখ বুলিয়ে নাও। ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে এক্ষেত্রে। কাজেই শুরু থেকেই ৩০টা প্রশ্নের প্রতিটায় অন্তত ৩০ সেকেন্ড করে বাঁচাতে পারলেই রিভিশনের জন্য ১৫ মিনিট পাওয়া যাবে। 

.