সবং উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ বিরোধীদের, দাওয়ায় বসেই গড় সামলালেন মানস

দীর্ঘদিন পর এই অঞ্চল এমন বিধানসভা ভোট দেখছে, যেখানে প্রার্থী হিসেবে মানস ভুঁইঞার নাম নেই। তবে নিজে না থাকলেও, প্রচার পর্ব থেকে ভোটযুদ্ধ সবেতেই অগ্রণী ভূমিকায় সবংয়ের ভূমিপুত্র।

Updated By: Dec 21, 2017, 07:34 PM IST
সবং উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ বিরোধীদের, দাওয়ায় বসেই গড় সামলালেন মানস

নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ। ভোট শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বেশ কিছু জায়গায় বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বহিরাগতদের এনে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে, শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের। সবংয়ে তেরুয়া প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বলপাই, ভেমুয়া, মহাড়, বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের বাইক বাহিনী এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। তাঁদের অভিযোগ, ভোটে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে শাসক দল। যদিও তৃণমূলের তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শাসকপক্ষের দাবি, সবই বিরোধীদের কষ্টকল্পনা।

আরও পড়ুন- উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম সবং, বিতর্ক রুখতে ব্যবহার ভিভিপ্যাটের

এদিকে, মাটির দাওয়ায় মাদুরে বসেই গড় সামলালেন মানস ভুঁইঞা।  সকাল থেকেই সবংয়ে অন্য মেজাজে পাওয়া গেল তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তথা উপনির্বাচনের সেনাপতি মানস ভুঁইঞাকে।

দীর্ঘদিন পর এই অঞ্চল এমন বিধানসভা ভোট দেখছে, যেখানে প্রার্থী হিসেবে মানস ভুঁইঞার নাম নেই। তবে নিজে না থাকলেও, প্রচার পর্ব থেকে ভোটযুদ্ধ সবেতেই অগ্রণী ভূমিকায় সবংয়ের ভূমিপুত্র। যিনি এবার ঘাসফুল শিবিরের সৈনিক। তৃণমূলের প্রার্থী এখানে তাঁর স্ত্রী গীতা ভুঁইঞা। তবে কংগ্রেসি তকমা ঝেড়ে, নতুন দলের সবাইকেই স্ত্রীর জন্য পাশে পাবেন কিনা তিনি, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। নির্বাচন কমিশনের খাতায় সবংয়ে প্রার্থী সংখ্যা পাঁচ। তৃণমূলের গীতা ভুঁইঞা ছাড়াও লড়াইয়ে আছেন বিজেপির অন্তরা ভট্টাচার্য, সিপিএমের রীতা জানা মণ্ডল, কংগ্রেসের চিরঞ্জীব ভৌমিক এবং এসইউসিআইএয়ের দীনেশ মেইকাপ। পঞ্চমুখী লড়াইয়ে কোমর কষে নেমেছে বিজেপি। সবংয়ে কার্যত মাটি কামড়ে পড়ে থেকে, বিজেপির পালে কি হাওয়া টানতে পারবেন সদ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো মুকুল রায়? জবাব মিলবে শীঘ্রই। সিপিএমও রীতিমতো বেগ দিতে তৈরি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটভাঙার খেসারত তাদের দিতে হবে কিনা, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। সব জবাব পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন- মন্ত্রীর সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ভাঙচুর

.