তরোয়াল নিয়ে এলাকা দখল করা যাবে না, বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া মুখ্যমন্ত্রী
একদিকে নাম না করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি। অন্য দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর। বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে আগাগোড়া কড়া রইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তরোয়াল নিয়ে এলাকা দখল করা যাবে না। একথা বলে বিজেপিকে যেমন বার্তা দিলেন, সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, বোমার কারখানা বরদাস্ত করবে না সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: একদিকে নাম না করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি। অন্য দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর। বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে আগাগোড়া কড়া রইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তরোয়াল নিয়ে এলাকা দখল করা যাবে না। একথা বলে বিজেপিকে যেমন বার্তা দিলেন, সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, বোমার কারখানা বরদাস্ত করবে না সরকার।
মেরুকরণের রাজনীতি করে বীরভূমের পকেটে পকেটে অশান্তি তৈরি করছে বিজেপি। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এমন অভিযোগ নতুন নয়। সোমবার বোলপুরে ছিল বীরভূম জেলা রিভিউ মিটিং। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশাসন যথেষ্ঠ সিরিয়াস।
প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক। সরাসরি বিজেপির নাম করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিশানায় কে?
মুর্শিদাবাদ, মালদা, বিহার সীমানা লাগোয়া বীরভূম। এই জেলার নানুর, পারুই, মাখড়া, চৌমণ্ডলপুরের মতো জায়গায় অশান্তি লেগেই রয়েছে। অনেক জায়গায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল তার বড় কারণ। বোমা বিস্ফোরণ, বোমা উদ্ধার, প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। তৃণমূলের প্রশ্রয়ে জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ করছে বিজেপি। বালি খাদানের দখল নিয়ে দলীয় কোন্দল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সম্প্রতি তা দেখেছে লাভপুর। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু পুলিস-প্রশাসন নয়, অশান্তি বন্ধ করতে দলের একটা অংশকেও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নানুরের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে ধমকেই তা স্পষ্ট।