ভরদুপুরে বৈদ্যবাটী প্ল্যাটফর্মে যুবক খুন

জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে মুন্নার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার এবং উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

Updated By: Jun 19, 2018, 09:23 PM IST
ভরদুপুরে বৈদ্যবাটী প্ল্যাটফর্মে যুবক খুন
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুপুর তিনটে নাগাদ বৈদ্যবাটী স্টেশনের ডাউন ১নং প্ল্যাটফর্মে ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্টেশন চত্বরে। শেওড়াফুলি জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতের নাম- জয়প্রকাশ দাস, বাড়ি চাঁপদানীতে। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে জিআরপি।

মঙ্গলবার জয়প্রকাশের সঙ্গে এক যুবকের বচসা চলতে থাকে বলে জানা যায়। আচমকাই ওই যুবক ছুরি দিয়ে আঘাত করে জয়প্রকাশকে। তত্ক্ষণাত্ রক্তাক্ত অবস্থায় প্ল্যাটফর্মে পরে যায় আহত জয়প্রকাশ। এরপর রেল লাইন টপকে পালিয়ে যায় আততায়ী। ইতিমধ্যে কয়েকজন যাত্রী ও প্ল্যাট ফর্মের হকাররা এই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পরেন। একজন চায়ের দোকানদার স্টেশন মাস্টারকে খবরও দেন। স্টেশন মাস্টার প্রশান্ত ব্যানার্জী শেওড়াফুলি জিআরপিকে বিষয়টি জানান। এর বেশ কিছুক্ষন পর  জিআরপি ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং দেহ উদ্ধার করে ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিআরপি-র হাতে গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত প্রমোদ দাস (মুন্না) ও রাজু দাস।

জানা যাচ্ছে, জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে মুন্নার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার এবং উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এই নিয়ে এর আগে থানা পুলিসও হয়েছে। মঙ্গলবার জয়প্রকাশ ছুরি নিয়ে মুন্নার স্ত্রীকে ভয় দেখায়। সেসময় মুন্না ছিল বৈদ্যবাটীর ভারা বাড়িতে। এদিন এই বিষয়ে শ্রীরামপুর থানাতে অভিযোগও দায়ের করা হয় বলে খবর। এরপর স্টেশনে গিয়ে জয়প্রকাশ তার স্ত্রীকে কেন ভয় দেখিয়েছে তা জানতে চায় মুন্না। এনিয়ে বচসাও শুরু হয় দুজনের মধ্যে। সেসময়ই জয়প্রকাশের হাতে থাকা ছুরি কেড়ে নিয়ে তারই পেটে ঢুকিয়ে দেয় বলে দাবী মুন্নার। ডিএসপি হেড কোয়ার্টার শিশির মিত্র বলেন, দুজনের পুরানো শত্রুতা ছিল। কিন্তু এরপিছনে ঠিক কী ঘটনা রয়েছে এবং ছুরি কোথা থেকে এল, সেসব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন- মেয়ের সামনেই মায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রতিবেশী, তার পর...

.