বীরভূমে খুন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি, সরানো হল ওসিকে
অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত দীপকবাবুর প্রতাপ এলাকায় দেখার মতো ছিল। স্থানীয় ওসিকে হুমকিও দেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবদন : বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূল ব্লক সভাপতি হত্যার জেরে সরতে হল কাঁকড়তলা থানার ওসি পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়কে। খয়রাশোলে তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের ওপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দীপক ঘোষের।
তৃণমূলের অভিযোগ, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে এসে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। যদিও, বিজেপির পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যা। এরই মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হল ওসিকে। হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, পুজোয় সিকিম ঘুরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, মৃত্যু ৫ বাঙালি পর্যটকের
রবিবার দুপুরে কাজ সেরে বাড়ি ফেরছিলেন দীপক ঘোষ। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সোমবার সকালে অস্ত্রোপচারের পর ২ টি গুলি বার করা হয়। কিন্তু, চিকিত্সকরা জানান আরও একটি গুলি রয়ে গিয়েছে শরীরে। ফরে অস্ত্রোপচারের পরেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে দীপক ঘোষের। তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে, কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরপর সোমবার দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন, ডোমদের মারধর, অভিযু্ক্তদের শাস্তি না হলে ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ার হুমকি
অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত দীপকবাবুর প্রতাপ এলাকায় দেখার মতো ছিল। বিভিন্ন সময় নানা আপত্তিকর মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। গত জুলাই মাসে কাঁকড়তলা থানা এলাকার বাবুইজোড় গ্রামে এক সভায় স্থানীয় ওসিকে হুমকি দেন তিনি।
আরও পড়ুন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে! 'সুখের দাম্পত্য' ঘুচল ৩ বছরেই
এবারই প্রথম নয়, আগেও দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েছেন দীপক ঘোষ। সেবার তাঁর চোখে আঘাত লাগে। স্থানীয়রা বলছেন, খয়রাশোলে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী আছে। সম্প্রতি খয়রাশোলে দীপক ঘোষের অনুগামী শেখ কালুর দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ হয়। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে উড়ে যায় কার্যালয়টি।