ফুলশয্যার রাতেই দরজায় কড়া নাড়ল পুলিস
সম্পর্কের রঙ গাঢ় হতে শুরু করলে সারা জীবন এক সঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে আলাপ। তার থেকে পরিচয়, বন্ধুত্ব, ঘনিষ্ঠতা। সম্পর্কের রঙ গাঢ় হতে শুরু করলে সারা জীবন এক সঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার। আর তা থেকেই গাঁটছড়া বাঁধা পড়লেন দুজনে। তবে সামাজিক বিয়ে না করে, বিয়ে করলেন আইনি পদ্ধতিতে। সরকারি বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নিয়ম মেনে বিয়ে করেন তাঁরা। তবুও পিছু ছাড়ল না বিপত্তি। বিয়ে সেরে বাড়িতে ফেরার পরই বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল পুলিস। কেন? পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের অরিজিত বিশ্বাস ও বারাসতের মেয়ের অনিন্দিতা ব্রহ্মের প্রেম কাহিনীর প্রতিটা মোড়েই রোমাঞ্চ।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের চেলিয়ামা গ্রামের যুবক অরিজিত বিশ্বাসের সঙ্গে ফেসবুকেই পরিচয় হয় বারাসতের অনিন্দিতার। দুজনের কথা হতে থাকে। পরে দেখাও করেন দুজনে। সম্পর্ক যে বন্ধুত্বের থেকে একটু বেশিই এগিয়ে গিয়েছে, তা বুঝতে দেরি হয়নি ওঁদের। অগত্যা, বিয়ে করার সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: প্ল্যাটফর্মের সিটে বসে তরুণী, রক্তে ভেসে যাচ্ছে এলাকা, পাশে লেখা একটি ‘শব্দ’…
প্রাপ্ত বয়স্ক অরিজিত ও অনিন্দিতা ঠিক করেন, তাঁরা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করবেন। সেই মোতাবেক রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নোটিসও দেন তাঁরা। বিয়েও করেন। বিয়ের পর অনিন্দিতা অরিজিতের পুরুলিয়ার বাড়িতে গিয়ে থাকেন। অভিযোগ আচমকাই, শনিবার রাতে পুলিস গিয়ে চড়াও হয় তাঁদের বাড়িতে। কোনও কিছু না বলেই দুজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিস।
জিজ্ঞাসাবাদের নামে শনিবার রাতভর থানায় বসিয়ে রাখা হয় তাঁদের। এমনকি রবিবার দুপুর হয়ে গেলেও তাঁদের থানা থেকে ছাড়া হয় না। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে অস্বস্তিতে পড়ে যান কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। কেন প্রাপ্ত বয়স্ত এক নববিবাহিত দম্পতিকে থানায় তুলে আনা হল, তা স্পষ্ট করে বলেন না পুলিস কর্তারা। যদিও তাঁরা আভাস দিয়েছেন, অনিন্দিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই নাকি তাঁদের তুলে আনা হয়েছিল।
থানায় দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা বসে থেকে আতঙ্কে সদ্য বিবাহিত দম্পতি। হাতের মেহেন্দি এখনও উঠেনি। তারই মধ্যে থানার চক্কর কাটায় রীতিমত বাক্যিহারা অনিন্দিতা-অরিজিত্।