জেটির অসুখ

নতুন নয়, রোগ বহুদিনের। বান এলে মনে হয় যেন সুনামির ঢেউ। পায়ের তলা নড়বড়ে। ব্যারাকপুরই হোক বা শান্তিপুর, জেটিগুলির হাল বড়ই বেহাল। অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের।       

Updated By: Apr 28, 2017, 11:41 PM IST
জেটির অসুখ

ওয়েব ডেস্ক: নতুন নয়, রোগ বহুদিনের। বান এলে মনে হয় যেন সুনামির ঢেউ। পায়ের তলা নড়বড়ে। ব্যারাকপুরই হোক বা শান্তিপুর, জেটিগুলির হাল বড়ই বেহাল। অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের।       
        
চেহারা কঙ্কালসার। বাঁশের পর বাঁশ। কাঠামো বলতে এটুকুই। তবু তো যাতায়াতের পথ! ভরসা নয়, মানুষের বাধ্যবাধকতার জায়গা। যেতে হবে, তাই যাচ্ছেন সবাই। মনে ভয়। এই বুঝি প্রাণটা গেল! এ ছবি ব্যারাকপুরের একটি ঘাটের নয়, একাধিক ঘাটের।

ইছাপুর নবাবগঞ্জ ঘাট, দেবীঘাট, আতপুর, ধুবিঘাট, ঢেবঢেবি ঘাট, শ্যামনগর কালীবাড়ি ঘাট থেকে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এপার-ওপার করেন। রাস্তা দিয়ে গেলে গন্তব্যে পৌঁছতে যত সময় লাগে, তার অনেক কম সময় লাগে নৌকোযাত্রায়। সময় বাঁচাতে জলপথে ভরসা রাখলেও, জেটির ওপর মোটেই ভরসা নেই যাত্রীদের। যাত্রীদের অভিযোগ, জেটি থেকে নৌকোয় পা রাখতে হয় কার্যত জীবন বাজি রেখে।

ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার দুর্ঘটনা আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। কখন, কী হয়ে যায়! জেটির যা অবস্থা, তাতে জীবন জলে যেতে বেশি কসরতেরও দরকার নেই। শান্তিপুরের ভয়াবহ নৌকাডুবি। কুড়ি জনের মৃত্যু, তা ঘিরে বিক্ষোভ, পরিস্থিতি সামলাতে পুলিসের কাঁদানে গ্যাস। এক বছর হতে চললেও, এখনও স্মৃতিতে টাটকা। কান পাতলে আজও কিন্তু এখানে অভিযোগের পাহাড়। মাঝিদের অভিযোগ, সতর্ক নন যাত্রীরাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কালনা ও নদিয়াতে পারাপার-পর্ব চলে। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীর ঝুঁকির যাত্রা। ছিল.... আছে। (আরও পড়ুন- উন্নয়নের ক্রেডিট কার? আসানসোলে কেন্দ্র বনাম রাজ্য)

.