মুকুলের উপস্থিতিতে পদ্ম পতাকা হাতে নিলেন 'একদা দাপুটে' তৃণমূলনেত্রী

রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবের কেন্দ্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের লড়াকু নেত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন শিখা চ্যাটার্জি, এমনটাই শোনা যায় এলাকায় কান পাতলে। সেই তিনিই এবার মুকুল রায়ের হাত ধরে ঢুকে পড়লেন পদ্ম শিবিরে।

Updated By: Dec 28, 2017, 05:37 PM IST
মুকুলের উপস্থিতিতে পদ্ম পতাকা হাতে নিলেন 'একদা দাপুটে' তৃণমূলনেত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ২৪ ঘণ্টা আগেই। আজ ১৫ জন তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিজেপির দলীয় সমাবেশে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন একদা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেত্রী হিসাবে পরিচিত শিখা চ্যাটার্জি।

বুধবার রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন শিখা চ্যাটার্জি। তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফার কারণ হিসাবে প্রাথমিকভাবে শারীরিক সমস্যার কথা বললেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিখার কণ্ঠে শোনা যায় দলের প্রতি ক্ষোভের সুর।

রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবের কেন্দ্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের লড়াকু নেত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন শিখা চ্যাটার্জি, এমনটাই শোনা যায় এলাকায় কান পাতলে। সেই তিনিই এবার মুকুল রায়ের হাত ধরে ঢুকে পড়লেন পদ্ম শিবিরে। কিন্তু দলের প্রতি শিখা চ্যাটার্জির ক্ষোভের কারণ কী?

তৃণমূল ত্যাগের পর শিখাকে বলতে শোনা যায়, দিদি যে আদর্শ নিয়ে দল তৈরী করেছিলেন, সেই দলকে নোংরা করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা কর্মীরা। "এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে চাননি", বলেও মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গের এই নেত্রী। দলের প্রবীণ নেতারা আজ কোণঠাসা বলে অভিযোগ করেন শিখা চ্যাটার্জি। আর তারপরেই গলের সঙ্গে যুক্ত বর্তমান নেতৃত্বের অসাধু যোগকে নিশানা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নদীর গতিপথ আটকে একটি নির্মাণ কাজ হচ্ছিল বলে বিতর্ক দানা বাঁধে ওই এলাকায়। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে সেই নির্মাণ প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করে তাতে বাধা দেন শিখা। আর এর জন্য তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তৃণমূল ত্যাগী নেত্রীর। প্রথমিকভাবে পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও দলের বর্তমান নেতৃত্ব তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে বলেও অভিযোগ করেন শিখা চ্যাটার্জি। এর ফলেই তিনি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন এবং দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- "এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে চাননি"

.